নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: না, ছেলে নিজেকে কাউকে পছন্দ করছেন। না, অন্য কাউকে মেয়ে পছন্দ করতে দিচ্ছেন। তাই শেষ পর্যন্ত ছেলের পাত্রী দেখার ভার হরিয়ানার সোনিপতের মহিলা খেতমজুরদের কাঁধেই ছাড়লেন সোনিয়া গান্ধি। অনুরোধের সুরে বললেন, ‘রাহুলের জন্য পাত্রী দেখুন। ছেলেকে বিয়ে দিতে চাই।’ মায়ের কথায় কাঁধ নেড়ে সায় দিয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিও।
ঘটনাটি তাহলে খুলেই বলা যাক। কয়েক দিন আগেই হিমাচল প্রদেশে যাওয়ার পথে হরিয়ানার গৌহানা মদিনা গ্রামে ঢ়ুঁ মেরে কৃষকদের হাল-হকিকতের খোঁজ নিয়েছিলেন রাহুল। বেশ কয়েকজন মহিলা খেতমজুরের সঙ্গে বসে আড্ডা মেরেছিলেন। তখনই প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলারা রাজীব তনয়কে জানান, কখনও দিল্লি দেখা হয়নি। রাহুল প্রতিশ্রুতি দেন, তাঁদের দিল্লি দেখানোর দায়িত্ব তাঁর। দুপুরে মা সোনিয়া গান্ধি আর বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধির সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজেরও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। নিজের প্রতিশ্রুতি ভোলেননি ওয়ানাডের প্রাক্তন সাংসদ।
সম্প্রতি ওই মহিলা খেতমজুরদের দিল্লি নিয়ে এসেছিলেন রাহুল। রাজধানী ঘুরিয়ে দেখানোর পাশাপাশি ১০ জনপথে দুপুরে মধ্যাহ্নভোজনে আপ্যায়িত করেন। তখনই খেতমজুরদের একজন সোনিয়াকে জিজ্ঞেস করেন, ‘ছেলের বিয়ে দেননি।’ একগাল হেসে প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী বলেন, ‘না, উপযুক্ত পাত্রী মেলেনি। আপনারাই রাহুলের জন্য পাত্রী দেখে দিন।’ পাশে বসা প্রিয়াঙ্কা এক গাল হেসে বলেন, ‘ভাই কিন্তু আমার চেয়ে ভীষণ দুষ্ট। কিন্তু যথেষ্ট দায়িত্বশীল।’ শনিবার সকালেই নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে হরিয়ানার প্রত্যন্ত খেতমজুরদের সঙ্গে আড্ডা মারার বেশ কিছু স্মৃতি আপলোড করেছেন। লিখেছেন, ‘মা, প্রিয়াঙ্কা আর আমার জন্য এক স্মৃতিমধুর দিন। সোনিপতের কিষান বোনদের দিল্লি দর্শন, ওঁদের সাথে বসে ঘরের খাবার খাওয়ার পাশাপাশি অনেক মজার কথাবার্তা হল। সঙ্গে উপহার হিসেবে মিলেছে দেশি ঘি, মিষ্টি লস্যি, ঘরে তৈরি আচার আর অনেক ভালবাসা।’