নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: করফাঁকির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কেন্দ্র উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিল। একযোগে এই কেলেঙ্কারির তদন্ত করবে আয়কর দফতর, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজ্য়ান্স উইংস। তদন্তের নেতৃত্বে থাকবে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্য়াক্সেজ-য়ের চেয়ারম্যান।
কেন্দ্রীয় সরকার সোমবার বিকেলে এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, “ইন্টারন্যাশনাল কনসর্টিয়াম ইন্টারন্যাশনাল জার্নালিস্ট একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।সেই রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, বিশ্বের ২০০টি দেশের ধনকুবেররা কর ফাঁকি দিয়েছেন। কর ফাঁকি দিতে তারা নামে বা বেনামে বিভিন্ন সংস্থা, ট্রাস্ট, এবং প্রতিষ্ঠান খুলেছে। সেই সব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় সরকার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। একযোগে এই তদন্ত করবেআয়কর দফতর, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজ্য়ান্স উইংস। তদন্তের নেতৃত্বে থাকবে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্য়াক্সেজ-য়ের চেয়ারম্যান। য়ারা কর ফাঁকি দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্য়বস্থা নেওয়া হবে। ”
উল্লেখ করা যেতে পারে, সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন কনসর্টিয়াম অফ ইন্টারন্যাশনাল জার্নালিস্ট একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেই রিপোর্টে কর ফাঁকির অভিযোগে নাম রয়েছে রাজনীতিবিদ থেকে সেলেব্রিটিদের। তালিকায় নাম রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি অনিল আম্বানি, নীরব মোদির বোন পুরবী মোদি,নীরা রাডিয়া, বলিউড তারকা জ্যাকি শ্রফ-সহ গান্ধি পরিবার ঘনিষ্ঠ রাজনীতিবিদ সতীশ শর্মার নাম। এই রিপোর্টে মোদি সরকার যেমন অস্বস্তিতে, অস্বস্তিতে কংগ্রেস নেতৃত্ব। যদিও সচিনের আইনজীবী জানিয়েছে, তার মক্কেল যাবতীয় কর মিটিয়ে দিয়েছেন।
রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, এক প্রকার চাপে পড়েই কেন্দ্র এই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। কারণ, কর ফাঁকির অভিযোগে কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ নেতা নন, মোদি ঘনিষ্ঠ শিল্পপতিও জড়িয়ে গিয়েছে।