নিজস্ব প্রতিনিধি: উদ্বেগ মুক্ত, গোটা দেশবাসীকে চিন্তামুক্ত করে বুধবার (১২ নভেম্বর) মুম্বইয়ের ব্রীচ ক্যান্ডি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। সকাল সাড়ে ৭ টা নাগাদ তিনি হাসপাতাল থেকে বাড়ি চলে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসক। এছাড়াও অভিনেতার বড় ছেলে সানি দেওলের টিমও একটি বিবৃতি জারি করে ধর্মেন্দ্রর বাড়ি ফেরার ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন। জানা যায়, গত সপ্তাহে শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল কিংবদন্তি অভিনেতাকে। যিনি বলিউডে প্রায় ছয় দশক ধরে রাজত্ব করছেন। যিনি দেশবাসীকে ‘শোলে’, ‘জিদ্দি’, ‘ড্রিম গার্ল’-সহ একাধিক ব্লক বাস্টার হিট দিয়েছেন। তাই তাঁর অসুস্থতার খবর প্রকাশ্যে আসা মাত্রই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে গোটা দেশ। শুধু তাই নয়, মূহুর্তেই রটে যায়, অভিনেতার মৃত্যুর খবর।

Mumbai: As veteran actor Dharmendra arrives home from the hospital, fans gather in large numbers to catch a glimpse. Among them, an auto-rickshaw driver arrives carrying a poster, praying for the actor’s speedy recovery. pic.twitter.com/M6vO1McSJ3

— IANS (@ians_india) November 12, 2025

এমনকী তাঁর ছবি দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক প্রকাশ করতে শুরু করেন নেটিজেনরা। আর তা ভাইরাল হতেই চটে যায় অভিনেতার পরিবার। হেমা মালিনী, এশা দেওল, সানি দেওল-সকলেই ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর গুজব উড়িয়ে দেন। যাতে স্বস্তি পেয়েছে গোটা দেশবাসী। এবং বুধবার সকালে ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতাল থেকে অভিনেতার মুক্তির খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই, বলিউডের ‘হি-ম্যান’কে এক ঝলক দেখার জন্য অভিনেতার জুহুর বাসভবনের বাইরে ভক্তদের একটি বিশাল ভিড় জড়ো হয়। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন অটোরিকশা চালক। যিনি তাঁর হাতে একটি পোস্টার ধরেছিলেন এবং অঝোরে কাঁদছিলেন। চোখের জল মুছে তাঁর আইকনের আরোগ্য কামনা করছিলেন। এমন একটি মুহূর্ত, যা ধর্মেন্দ্র এবং তার ভক্তদের মধ্যে আবেগের বন্ধনকে আরও নিখুঁতভাবে তুলে ধরেছে।

Mumbai: An auto-rickshaw driver says, “As soon as I heard that Dharmendra had arrived home, I immediately came here with my rickshaw. I couldn’t resist, I have admired his pictures since childhood. Even at his age, his personality is remarkable; he still swims, which is not easy.… pic.twitter.com/Pm0XW8vfOg

— IANS (@ians_india) November 12, 2025

সেই অটোচালক সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে গভীর স্নেহের সঙ্গে বলেন, “ধর্মেন্দ্র বাড়িতে আসার কথা শোনা মাত্রই আমি আমার রিক্সা নিয়ে এখানে এসেছি। আমি নিজেকে প্রতিরোধ করতে পারিনি, আমি ছোটবেলা থেকেই তার ছবিগুলি উপভোগ করেছি। এমনকি তার এই বয়সেও, তার ব্যক্তিত্ব অসাধারণ। সে এখনও সাঁতার কাটে, যা সহজ নয়। আমি তার দ্রুত আরোগ্যের প্রার্থনা করছি।” আজ সকালে পাপারাৎজিদের শেয়ার করা একটি ভিডিওতে ধর্মেন্দ্রর বাড়িতে একটি অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছতে দেখা গিয়েছে, তার পরে তার ছেলে ববি দেওলের গাড়িও পৌঁছতে দেখা যায়। কিছুক্ষণ পরেই ভক্তদের মধ্যে এই খবর ছড়িয়ে পড়ে। আর তাঁরা অভিনেতা নিরাপদে বাড়ি পৌঁছেছেন শুনে স্বস্তি পেয়েছেন। তবে তিনি এখন কেমন আছেন, সেই বিষয়ে দেওল পরিবার এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করেনি। তবে তাঁর পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে যে ধর্মেন্দ্রর অবস্থা স্থিতিশীল হয়েছে এবং বাড়িতে ডাক্তাররা তাকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন।