নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: মুজিবনগর দিবসের অনুষ্ঠানে দেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও চার জাতীয় নেতার অন্যতম খুনি খন্দকার মোশতাক আহমেদকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বিতর্কে জড়ালেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ। জাতির পিতার খুনিকে শ্রদ্ধা জানানোর ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। সমালোচনার মুখে নিজের কৃতকর্মের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক। যদিও তাতে সমালোচনার ঝড় থামানো যায়নি।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার। মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে এক আলোচনাসভার আয়োজন করেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, সহ উপাচার্য (শিক্ষা) মহম্মদ সামাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি রহমতউল্লাহ, নিজামুল হক ভুঁইয়া, কোষাধ্যক্ষ মমতাজউদ্দীন আহমেদ, অধ্যাপক গোলাম রব্বানি। আলোচনাসভার শুরুতেই মুজিবনগর সরকার গঠনের কথা জানাতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, চার জাতীয় নেতার নেতার পাশাপাশি খুনি খন্দকার মোশতাককেও শ্রদ্ধা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি রহমতউল্লাহ। আর তাতেই কার্যত ক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে।
রহমতউল্লাহের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য (শিক্ষা) মহম্মদ সামাদ। তিনি ওই বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানান। কিন্তু নিজের বক্তব্য প্রত্যাহারে প্রথমে রাজি হননি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি। শেষ পর্যন্ত সভার সভাপতি তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান ওই বক্তব্য প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন।
একজন খুনিকে শ্রদ্ধা জানানো নিয়ে বিভিন্ন মহলে নিন্দার ঝড় ওঠে। শেষ পর্যন্ত চাপের মুখে পড়ে দুঃখপ্রকাশ করেন অধ্যাপক রহমতউল্লাহ। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘’মুজিবনগর সরকার সম্পর্কে বলতে গিয়ে মুখ ফসকে যা বলেছি, তার জন্য আমি দুঃখিত। খন্দকার মোশতাক একজন ঘৃণিত ব্যক্তি। তাকে শ্রদ্ধা জানানোর কোনও ইচ্ছে আমার নেই।’