নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ভারতে কো-মর্বিডিট প্রবীণ নাগরিকদের করোনা টিকার বুস্টার ডোজ নেওয়ার জন্য কোনও ডাক্তারের শংসাপত্র কিংবা কোনও প্রমাণপত্র দেওয়ার দরকার নেই। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক মঙ্গলবার একটি সরকারি বিবৃতি জারি করে এমনটাই ঘোষণা করল।
আগামী বছরের শুরুতেই অর্থাৎ ২০২২-এর ১০ জানুয়ারি থেকেই ষাটোর্ধ্ব এবং করোনা যোদ্ধাদের বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করছে কেন্দ্রীয় সরকার। শনিবার ২৫ ডিসেম্বরের দিন একথা নিজেই ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন তিনি বলেন দেশে হানা দিয়েছে করোনার নতুন স্ট্রেন ওমিক্রন। আর তাই ওমিক্রনের হাত থেকে দেশবাসীকে রক্ষ করতে আগামী বছরের শুরু থেকেই দেওয়া হবে বুস্টার ডোজ।
এক্ষেত্রে প্রথমে বুস্টার ডোজ পাবেন করোনা যোদ্ধা এবং ষাটোর্ধ্ব কো-মর্বিডিটি রোগী অর্থাৎ যাদের সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা সব থেকে বেশী। তবে শোনা যাচ্ছিল সেক্ষেত্রে লাগতে পারে কো-মর্বিডিটি প্রমাণপত্র। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক মঙ্গলবার একটি সরকারি বিবৃতি জারি করে ঘোষণা করল যে, ভারতে কো-মর্বিডিট প্রবীণ নাগরিকদের করোনা টিকার বুস্টার ডোজ নেওয়ার জন্য কোনও ডাক্তারের শংসাপত্র কিংবা কোনও প্রমাণপত্র দেওয়ার দরকার নেই।
অন্যদিকে মঙ্গলবার ওই একই সঙ্গে ঘোষণা করা হল যে, আগামী বছর দেশের ৫ রাজ্যের নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবেন যারা সেই ভোটকর্মীরাও পাবেন করোনা টিকার বুস্টার ডোজ। তাঁদেরকেও মঙ্গলবার করোনা যোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে এই বুস্টার ডোজ গ্রহণের আওতায় আনা হল।
পাশাপাশি ২০২২-এর ৩ জানুয়ারি থেকেই শুরু হচ্ছে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের করোনা টিকা দেওয়ার কাজ। ইতিমধ্যেই সেই বিষয়ে একটি আলাদা অপশন তৈরি করা হয়েছে কো- উইন অ্যাপে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে এই প্রসঙ্গেও একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, এতদিন পর্যন্ত করনা টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে যে সমস্ত সাবধানতা অবলম্বন করা হয়েছিল ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রেও সেই সব কিছু মানতে হবে। তাঁদেরও টিকা দেওয়ার পড়ে ৩০ মিনিট টিকা কেন্দ্রেই অপেক্ষা করেত্র হবে এবগ ওই সময়ে তাঁদের AEFI-এর সদস্যরা মনিটর করবে যে, টিকা নেওয়ার পরে তাঁদের মধ্যে কোনওরকম উপসর্গ দেখা দিয়েছে কিনা। টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার ২৮ দিনের পরে তাঁরা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবে।