নিজস্ব প্রতিনিধি: টানা অস্বস্তির পরে অবশেষে বড়সড় স্বস্তি মিলল। গত ২৪ ঘন্টায় করোনার দৈনিক সংক্রমণ সাতশোর গণ্ডি থেকে এক ধাক্কায় পাঁচশোর নিচে নেমে এসেছে। একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭২ জন। দৈনিক সংক্রমণের পাশাপাশি শনাক্তের হারও কমেছে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার অর্থাৎ পজিটিভিটি রেট দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৭৩ শতাংশে। তবে দৈনিক আক্রান্তের তুলনায় দৈনিক মৃত্যু অনেকটাই বেড়েছে। একদিনে করোনার মৃত্যুমিছিলে সামিল হয়েছেন ১৫ জন।
গত সপ্তাহে করোনার দৈনিক সংক্রমণ লাগাতার সাতশোর গণ্ডি ছাড়িয়ে যাওয়ায় কিছুটা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। উৎসবের মুখে মারণ ভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ কিছুটা হলেও অস্বস্তি বাড়িয়েছিল রাজ্য প্রশাসনের। বিশেষ করে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার মারণ ভাইরাস পরিস্থিতি উদ্বেগ ছড়িয়েছিল আমজনতার মনে। দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আগমনী বার্তা কিনা সেই প্রশ্নও উঠেছিল। তবে নতুন সপ্তাহের শুরুতে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত করোনার বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে নতুন করে ২৭ হাজার ২৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নয়া নমুনা পরীক্ষায় আরও ৪৭২ জনের শরীরে মারণ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫ লক্ষ ৬৬ হাজার ৮৬৫ জনে। একই সময়ে মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ নিয়ে রাজ্যে করোনার বলি হলেন ১৮ হাজার ৭৫১ জন।’
আগের দিন রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের তুলনায় দৈনিক সুস্থতার হার কম ছিল। কিন্তু গত ২৪ ঘন্টায় দৈনিক আক্রান্তের তুলনায় দৈনিক সুস্থতার হার বেশি। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ‘গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৫৫৬ জন। এ নিয়ে রাজ্যে সুস্থ হলেন ১৫ লক্ষ ৪০ হাজার ৫৩০ জন। সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮ দশমিক ৩২ শতাংশে। একদিনে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা কমেছে ৯৯টি। সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৫৮৪ জনে।’