আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিশরের বডি বিল্ডারদের জাতীয় ব়্যাঙ্কিংয়ের তালিকায় তাঁর নাম। পেয়েছেন দুটি ব্রোঞ্জ পদক।
রোজগারের জন্য সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। সঙ্গে একটা ঘোড়ায় টানা গাড়ি। সে গাড়িতে রাস্তার পাশে থাকা ময়লা একত্র করে নিয়ে যায় গারবিয়া অঞ্চলে। আবর্জনা বিক্রি করে আয় ৬.৫৯ ডলার। কোনও কোনওদিন সেটা সাত আট ডলারও হয়। কাজ করতে খুব ভালো লাগে তা নয়। কিন্তু এ ছাডা় এই মুহূর্তে তাঁর রোজগারের দ্বিতীয় কোনও রাস্তা নেই। সে জানিয়েছে, এর চেয়ে ভালো কাজ পেলে ভালো লাগত।
দিনে আবর্জনা কুড়িয়ে বিক্রি করে বাড়ি ফিরতে অনেকটাই বেলা হয়ে যায়। খাওয়া-দাওয়া করে বিশ্রাম নিয়ে আবার বডিবিল্ডিং সেন্টারে যাওয়া। কয়েক ঘণ্টার অনুশীলনের পর রাতে খাওয়া-দাওয়া কর আবার ঘুম। বিশ্ব সেরা বডিবিল্ডার হওয়ার স্বপ্ন দেখে। এমনই অদ্ভূত রুটিন মিসরের বডি বিল্ডার আলী এল শারকীউয়ের।
দ্য নিউ ইয়র্ক পোস্ট-কে সে জানিয়েছে বডি বিল্ডার হওয়ার স্বপ্ন ছোট থেকে। কিন্তু রাষ্ট্র তাঁকে এই ব্যাপারে কোনও সাহায্য করেনি। ক্রীড়াক্ষেত্রে সরকারের তরফ থেকে বরাদ্দ করা অর্থ দলগত খেলাধুলোয় বিনিয়োগ করা হয়। ফলে, যারা ব্যক্তিগতভাবে যারা ক্রীডাক্ষেত্রে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে চায়, তারা রীতিমতো সমস্যায় পড়ে। অনুশীলনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। আর আর্থিক সমস্যা তো রয়েছে। আর্থিক সমস্যা দূর করতে আলী বেছে নিয়েছে আবর্জনা তুলে বিক্রি করার।
আরও পড়ুন মন্ত্রী বোলার, ছয় বলে ছয় ছক্কা পাক ব্যাটার ইফতিখরের