আন্তর্জাতিক ডেস্ক: স্টেডিয়ামে (stadium)বসে মানুষ ফুটবল খেলা দেখছেন। খেলা দেখতে তারা ব্যস্ত। এমন সময় কানে এল ট্রেনের (train) হুইসেল। কিছুক্ষণ বাদে দেখা গেল ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে ট্রেন শামুকের গতিতে এগিয়ে চলেছে। ট্রেন কিন্তু ফাঁকা নয়। যাত্রী রয়েছেন। তারাও খেলার আমেজ নিতে নিতেই স্টেডিয়াম ছাড়লেন।
পড়ে কেউ রোমাঞ্চিত হতে পারেন। কারও মনে হতে পারে গল্পের গরু। দ্বিতীয় শ্রেণিভুক্ত যারা, তাদের জন্য আরও তথ্য তুলে ধরা যাক। স্লোভাক গেলে নিজের চোখে দেখে আসতে পারেন এই স্টেডিয়াম (stadium)। পৃথিবীতে এমন স্টেডিয়াম আর দ্বিতীয় নেই। বিরল এই স্টেডিয়ামের নাম সিয়ের্নি ব্যালোগ (Cierny Balog)। স্টেডিয়াম তৈরি হয় ১৯৮০ সালে। তার আগে অনেক আগেই সেখানে ছিল রেললাইন। যদিও তা বহু বছর ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল। যদিও কেন রেললাইনের ঠিক পাশেই স্টেডিয়াম তৈরির চিন্তাভাবনা করল প্রশাসন সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্টভাবে কোনও তথ্য নেই।
নয়ের দশকের গোড়ার দিকে স্টেডিয়ামে নিয়মিত যাওয়া-আসা মানুষ এবং সেখানকার বাসিন্দারা সিদ্ধান্ত নেয়, লাইন মেরামতি করে পুনরায় ট্রেন (train) চালু করার। তাদের সমবেত উদ্যোগের ফলে ১৯৯২ সাল থেকে লাইন দিয়ে ফের গড়াতে শুরু করে ট্রেনের চাকা। ট্রেন ছাড়ে ভাটিমেক (Chvatimech) থেকে, যায় ভিড্রোভো(Vydrovo)। দূরত্ব মাত্র ১৭ কিলোমিটার। বেশি ভিড় হয় গ্রীষ্মকালে। ট্রেনে উঠতে টিকিট কাটার লাইন পড়ে যায়। এমন অনেকে আছেন যারা এই ট্রেন চড়তে দূর-দূরান্ত থেকেও আসেন। শুধুমাত্র রোমাঞ্চ অনুভব করার জন্য।