নিজস্ব প্রতিনিধি, সিলেট: শেষ ওভারে তিন বলে বাংলাদেশের তিন ব্যাটারকে ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দিয়েছিলেন করিম জানাত। তবে তাতে লাভ হয়নি। তাওহিদ হৃদয় আর শামিমের চওড়া ব্যাটিংয়ে ভর করে টি টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে আফগানদের হারিয়ে জিতল টাইগাররা। প্রথমে ব্যাট করে সাত উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান তুলেছিল আফগানরা। জবাবে এক বল বাকি থাকতেই আট উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্য পৌঁছে যায় সাকিব বাহিনী।
শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তৃতীয় ওভারেই ফিরে যান হযরতউল্লাহ জাজাই (১০ বলে ৮)। পরের ওভারে তাসকিনের বলে ফিরে যান রহমানুল্লাহ গুরবাজ (১৬)। পাঁচ বল বাদে ইব্রাহিম জাদরানকে (৮) ফেরান শরিফুল ইসলাম। ৩২ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে আফগানরা। অষ্টম ওভারে করিম জানাতকেও সাজঘরের পথ দেখান টাইগার অধিনায়ক। এর পরে মোহাম্মদ নবি আর নাজিবুল্লাহ জাদরান জুটি বেঁধে দলের বিপদ কিছুটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। ১৪তম ওভারে জাদরানকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মিরাজ। আফগানরা ১০০ রানের গণ্ডি পেরোতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। কিন্তু নবি ও আজমতুল্লাহ রুখে দাঁড়ান। ষষ্ঠ উইকেটে তারা ৩১ বলে ৫৬ রান যোগ করেন দু’জনে। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান তোলে আফগানরা। মহম্মদ নবি ৪০ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
জয়ের জন্য ১৫৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই ওপেনার রনি তালুকদারকে ফিরিয়ে টাইগার শিবিরে আঘাত হানেন ফজল হক ফারুকি। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে নাজমুল হাসান শান্তর (১৪) স্ট্যাম্প ছিটকে দেন মুজিব উর রহমান। পরের ওভারে লিটন দাসকে (১৮) ফিরিয়ে ফের টাইগার শিবিরে আঘাত হানেন ওমরজাই। সুবিধে করতে পারেননি টাইগার অধিনায়ক সাকিবও (১৯)। এর পরেই জুটি বেঁধে তাওহিদ হৃদয় আর শামিম হোসেন মারমুখী মেজাজে ব্যাট করতে থাকেন। ৪৩ বলে ৭৩ রান যোগ করেন দুজনে। ২৫ বলে ৩৩ করে যখন সাজঘরে ফেরেন শামিম ততক্ষণে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে দল। শেষ ওভারে কিছুটা নাটকীয়তা তৈরি হয়। পর পর তিন বলে মেহেদী হাসান (৮), তাসকিন আমেদ আর নাসুম আমেদকে ফিরিয়ে দিয়ে হ্যাটট্রিক করেন করিম জানাত। শেষ দুই বলে জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ছিল দুই রানের। শরিফুল ইসলাম প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে কাঙ্খিত জয় এনে দেন।