নিজস্ব প্রতিনিধি: ব্যর্থ হলো সৌম্য সরকারের অসাধারণ লড়াই। বুধবার স্যাক্সটন ওভালে ৭ উইকেট ও ২২ বল বাকি রেখে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে জিতল নিউজিল্যান্ড। সেই সঙ্গে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই টাইগারদের বিরুদ্ধে সিরিজ জিতে নিল কিউইরা। সৌজন্যে উইল ইয়াং ও হেনরি নিকোলস।
টসে জিতে এদিন প্রথমে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম ল্যাথাম। ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা টাইগাররা শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। দলীয় স্কোর বোর্ডে ৪৪ রান যোগ হতে না হতেই সাজঘরে ফেরেন আনামুল হক (২), অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত (৬) ও লিটন দাস (২)। এক প্রান্তে একা কুম্ভ হয়ে লড়াই চালান সৌম্য সরকার। চতুর্থ উইকেটে ৩৬ রান যোগ হওয়ার পরে ফিরে যান তাওহিদ (১২)। এর পর সৌম্য ও মুশফিকুর রহিমের ৯১ রানের জুটির সুবাদে ভদ্রস্থ ইনিংস দাঁড় করাতে সক্ষম হয় টাইগাররা। ৪৫ রানে মুশফিকুর ফেরার পরে সৌম্যর সঙ্গে জুটি বেঁধে মেহেদী হাসান মিরাজ (১৯) ও তানজিম সাকিব (১৩) দলকে আড়াইশোর গণ্ডি পার করিয়ে দেন। একা কুম্ভ হয়ে লড়াই চালানো সৌম্য (১৬৯) ফেরার পরেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। স্কোর বোর্ডে এক রান যোগ হতে না হতে সাজঘরে ফেরেন রিশাদ হোসেন (৬) ও হাসান মাহমুদ (১)। ৪৯.৫ ওভারে ২৯১ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
জয়ের জন্য ২৯২ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চালিয়ে খেলতে থাকেন দুই কিউই ওপেনার উইল ইয়াং ও রাচিন রবীন্দ্র। শেষ পর্যন্ত ১১তম ওভারে রবীন্দ্রকে (৪৫) ফিরিয়ে ৭৬ রানের জুটি ভাঙেন হাসান মাহমুদ। এর পর হেনরি নিকোলসের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন ইয়াং। দুর্দান্ত খেলেও টানা দ্বিতীয় শতরানের আগেই থামতে হয় কিউই ওপেনারকে (৮৯)। তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক টম ল্যাথামের সঙ্গে জুটি বেঁধে ৩৬ রান যোগ করেন নিকোলস। কিন্তু শতরানের দোরগোড়ায় শরিফুলের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে মিডউইকেটে রিশাদের হাতে ধরা পড়ে ৯৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। রিশাদকে স্লগ সুইপে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জয় এনে দেন টম ব্লান্ডেল।