-273ºc,
Sunday, 4th June, 2023 10:08 am
নিজস্ব প্রতিনিধি: বেহালার(Behala) এক কমপ্লেক্সে অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে ওর ব্যাট-বলে হাতে খড়ি। যখন ও ব্যাট কিম্বা বল হাতে ওই কমপ্লেক্সের উঠোন কাঁপাচ্ছেন তখন হয়তো ক্রিকেটের মধ্য গগনে আর এক বেহালার তরুণ। এই মুহূর্তে বাংলার(Bengal) যে দুই তরুণী ক্রিকেট(Criket) খেলে ইতিহাসের পাতায় নাম তুলেছেন তাঁদের মধ্যে ধারা গুজ্জর(Dhara Gujjar) অন্যতম। দক্ষিণ কলকাতার(South Kolkata) বেহালা অঞ্চলে বেড়ে ওঠা এই তরুণীর। ছোটবেলা থেকেই ব্যাট ও বলের প্রেমে পড়া ধরার। কিন্তু তখনও তাঁর বাবা-মা ভাবতেই পারেননি তাঁদের ছোট্ট এই মেয়েটার নাম একদিন ছড়িয়ে পড়বে গোটা ভারতজুড়ে। সৌজন্যে ক্রিকেট নামক এই খেলাটি। মেয়ের ক্রিকেট খেলার প্রতি এত আগ্রহ অবাক করেছিল তাঁদের। তাই ধারার এই স্বপ্ন যাতে বাস্তবায়িত হয় সেই লক্ষ্যেই তাঁরা তাঁদের মেয়েকে ভর্তি করেছিলেন বিবেকানন্দ পার্কের মহিলা ক্রিকেট কোচিং ক্যাম্পে। সেখানে যোগ দিয়েই ধারা যেন তাঁর প্রতিভার সুবিচার পেতে থাকল।
আরও পড়ুন ৪ কোটি টাকার জরিমানা করা হল Kerala Blasters-কে
বিবেকানন্দ পার্কের এই কোচিং ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা প্রশিক্ষকরা ধারাকে দেখে বুঝতে পেরেছিলেন ঠিকমতো শান দেওয়া গেলে এই মেয়েটাই একদিন ২২ গজে দাপিয়ে বেড়াবে। প্রশিক্ষকদের অনুমান ভুল হয়নি। তিলে তিলে পরিশ্রম করে ক্রিকেটকে তখন আরও বেশি করে আঁকড়ে ধরতে লাগল ধারা। ধীরে ধীরে ধারা প্রস্ফুটিত কুঁড়ি থেকে পরিণত হয় ফুলে। সুযোগ মেলে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায়। সেখান থেকে ধারা চলে আসে ময়দানে। কলকাতা লিগেও তার পারফরম্যান্স ছিল যথেষ্ট নজরকাড়া। সেই শুরু বেহালার মেয়েটির। সেখান থেকেই বাংলার বয়স ভিত্তিক দলে। অনুর্ধ্ব ১৯ বাংলা দলে ধারাই নেতৃত্ব দিয়েছিল বাংলাকে। অবশ্য এ্রর আগে ধারা নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিল ময়দানের জায়েন্ট কিলার রাজস্থান ক্লাবের হয়ে।সেই টু্র্নামেন্টগুলিতে ভালো পারফরমেন্স করার সুবাদে ধারা এবার সুযোগ পায় মহিলাদের প্রথম আইপিএল-এর আসরে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে ধারাকে দলে নেয়। সেই দলেই রয়েছে বাংলার আর এক তরুণী সাইকা ইশিকা।
আরও পড়ুন ভাড়ার বিমানে IPL 2023 খেলতে মুস্তাফিজুর
প্রথম এইরকম হাইভোল্টেজ টু্র্নামেন্ট। সেখানে আবার সেই দলের দলনেত্রী হলেন হরমনপ্রীত কাউর। যিনি শুধু দলনেতাই নন, একজন দক্ষ অভিভাবকও বটে। কিন্তু দলে সুযোগ না পাওয়া নিয়ে আফশোস নেই ধারার। কথা কথা বলতে ধারার একটা কথাই যেন প্রাধান্য পেতে লাগল বার বার আরও বেশি পরিশ্রম করতে চাই। তাহলে একদিন সুযোগ পাবোই। এরপর হরমনপ্রীত কাউরকে প্রশ্ন করার আগেই ধারার জবাব, ‘হ্যারি দি শুধু একজন ভালো ক্রিকেটারই নন, একজন দক্ষ দলনেতাও। আমি গর্বিত হ্যারিদির পাশে খেলার জন্য।’ ধারা তোমার এই সাফল্যে আজ গর্বিত গোটা বাংলা। বহমান নদীর ধারার মতোই তুমি আরও এগিয়ে চলো। শুধু বাংলা নয়, দেশের হয়েও ২২ গজে ঝলসে উঠুক তোমার ব্যাট। আর বল হাতে তুমি বিপক্ষের ব্যাটারদের ধরাশায়ী করে দেশের পতাকাকে উড্ডিন করো ক্রিকেটের ইতিহাসে এমনি ঘটনা দেখার অপেক্ষায় প্রহর গোণা শুরু এখন থেকেই।