এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

কোভিডে কাড়ল প্রাণ! স্তব্ধ হলেন সুভাষ

নিজস্ব প্রতিনিধি: ময়দানে আর তাঁকে দেখা যাবে না। পায়ে করে ফুটবলকেও আর নাচাতে দেখা যাবে না। তরুণ ফুটবলারদের ধমক দিতে আর তাঁকে দেখা যাবে না। ক্লাবের খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ দিতেও আর তাঁকে দেখা যাবে না। কোভিড তাঁকে কেড়ে নিয়ে চলে গেল চিরতরে আমাদের মধ্যে থেকে। শনি ভোররাতে প্রয়াত হলেন কিংবদন্তীর ফুটবলার ও পরবর্তীকালের স্বনামধন্য সফল ফুটবল কোচ সুভাষ ভৌমিক। এদিন কলকাতার একবালপুরের এক নার্সিংহোমে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি সুগার ও কিডনির অসুখে ভুগছিলেন। গত প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে তাঁকে নিয়মিত ডায়ালিসিস নিতে হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত বুকে সংক্রমণ নিয়ে তিনি ভর্তি হন একবালপুরের ওই বেসরকারি নার্সিংহোমে। সেখানেই এদিন  সকাল সাড়ে ৭টায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।

শুক্রবারই অসুস্থ সুভাষ ভৌমিকের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। শুক্রবার বিকেলে সুভাষ ভৌমিকের ভবিষ্যৎ চিকিৎসার পরিকল্পনা নিয়ে ক্রীড়ামন্ত্রী একটি জরুরি সভা ডেকেছিলেন। সেখানে ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়, বিকাশ পাঁজি, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, বিদেশ বসু, মানস ভট্টাচার্যরা। এ ছাড়াও ছিলেন আইএফএ-র সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়, মোহনবাগান ক্লাবের অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত, মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কার্যকরী সভাপতি কামারউদ্দিন, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে দেবব্রত সরকার। সুভাষের পুত্র অর্জুনও ছিলেন সেই সভায়। সেখানেই ঠিক হয়েছিল, অন্য হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা করা হবে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমেই তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিডনি প্রতিস্থাপনের পরিকল্পনা ছিল চিকিৎসকদের। কিন্তু সেই সময় আর পাওয়া গেল না। ২৩ বছর আগে তাঁর বাইপাস সার্জারিও হয়েছিল। সেই সার্জারির পরেও তিনি ময়দানে দীর্ঘদিন কোচিং করেছেন। কিন্তু মৃত্যুর কয়েকদিন আগেই তিনি আক্রান্ত হন কোভিডে। এই লড়াইয়ে আত জিততে পারলেন না সুভাষবাবু।

ময়দানে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান, দুই ক্লাবের হয়েই খেলেছেন সুভাষ ভৌমিক। ১৯৭০-এ এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জজয়ী ভারতীয় ফুটবল দলের সদস্য ছিলেন। খেলেছেন মারডেকা কাপেও। ময়দানের তিন বড় ক্লাব ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহামেডান স্পোর্টিং ছাড়াও গোয়ার একাধিক ক্লাবের কোচ হিসেবে তাঁর সাফল্য রয়েছে। সুভাষ ভৌমিকের প্রয়াণে তাই ময়দানে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ময়দানের সুভাষবাবুকে অনেকেই ‘ভোম্বলদা’ বলে ডাকতেন। ফুটবলার জীবন শেষ করার পর দ্রুত কোচিংয়ে চলে এসেছিলেন তিনি। ভারতীয় টিমের কোচিংও করিয়েছেন। মোহনবাগানের কোচ হিসেবে ময়দানে আত্মপ্রকাশ হয়েছিল তাঁর। সাফল্য পেয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলে এসে। ২০০৩ সালে ইস্টবেঙ্গলকে আশিয়ান কাপ চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। পর পর দু’বছর সুভাষের কোচিংয়েই আই লিগ জিতেছিল লাল-হলুদ। এর পর মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গলের কোচ হিসেবে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সেই ‘ভোম্বলদা’ আর ফিরবেন না। পাড়ি দিয়েছেন তিনি চিরঘুমের দেশে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ফের দল নির্বাচনে এআই প্রযুক্তির ব্যবহার ইংল্যান্ডের

সন্দেশখালি নিয়ে ট্যুইট মমতার, নিশানায় বিজেপি, তোপ অভিষেকেরও

বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে আইপিএলে টিকে থাকতে মরিয়া গুজরাত

বাজারে নতুন পানীয় নিয়ে আসছে মেসির সংস্থা, কবে থেকে মিলবে?

শ্লীলতাহানিকাণ্ডে রাজভবনের কাছ থেকে  সিসিটিভি ফুটেজ চাইল লালবাজার  

RERA’র নির্দেশে সুদে আসলে ২১ লক্ষ টাকা ফেরত পেলেন বৃদ্ধ দম্পতি

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর