নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মশালা: শেষ ওভারে ফর্মে না থাকা মিচেল স্টার্কের হাতে বল তুলে দিয়ে জেতা ম্যাচ হাতছাড়া করে ফেলছিলেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিংস। ৬ বলে দরকার ছিল ১৯ রান। প্রথম ৫ বলে ১৩ রান তুলেছিলেন নিশাম। শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ৬ রানের। কিন্তু ব্যাটে বলে লাগাতে পারলেন না লকি ফার্গুসন। ফলে দুরন্ত লড়াই করেও অজিদের কাছে পাঁচ রানে হারতে হল কিউইদের।
শনিবার ধর্মশালায় জয়ের জন্য ৩৮৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই তাণ্ডব শুরু করেন দুই কিউই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও উইল ইয়ং। অষ্টম ওভারে বল করতে এসে জুটি ভাঙেন জোস হ্যাজলউড। ১৭ বলে ২৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন কনওয়ে। দশম ওভারে ফের কিউই শিবিরে আঘাত হানেন হ্যাজলউড। ফিরিয়ে দেন উইল ইয়ংকে (৩২)। এর পরে রাচিন রবীন্দ্র ও ডারিচ মাচিল জুটি বেঁধে অজি বোলারদের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। দুজনে জুটি বেঁধে ৯৬ রান যোগ করেন। অর্ধশতরান করার পরেই মিচেলকে ফিরিয়ে দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন অ্যাডাম জাম্পা। অধিনায়ক টম লাথামকে নিয়ে দলকে ২০০ রানের গণ্ডি পার করিয়ে দেন রবীন্দ্র। দুজনে ৫৪ রানের জুটি গড়েন। লাথামকে (২১) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন জাম্পা।
একা কুম্ভ হয়ে অজি বোলারদের আক্রমণ সামাল দিতে থাকেন রাচিন রবীন্দ্র। নিজের অর্ধশতরানের পরেই হাত খুলে মারতে থাকেন। গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে ৪৩ রান যোগ করেন। ৭৭ বলে সাতটি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে নিজের কেরিয়ারের দ্বিতীয় শতরান পূর্ণ করেন রবীন্দ্র। তাঁর বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে চাপে পড়ে যায় অজিরা। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ খানিকটা হলেও নিউজিল্যান্ডের দিকে ঝুঁকে পড়ে। শেষ পর্যন্ত ৪১তম ওভারে বল করতে এসে রবীন্দ্রকে (১১৯) থামান অজি অধিনায়ক প্যাট কামিংস। এর পরে সাত নম্বরে ব্যাট করতে নামা জেমস নিশাম দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নিজের কাঁধেই তুলে নেন। অজি বোলারদের তুলোধনা করতে থাকেন। ৩৪ বলে নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৯ রানের দরকার ছিল। প্রথম দুই বলে বাউন্ডারি হাঁকান নিশাম। পরের দুই বলে দুই করে চার রান নেন। পরের বলে দুই রান নিতে গিয়ে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। সেই সঙ্গেই ম্যাচের ভাগ্য স্পষ্ট হয়ে যায়।