নিজস্ব প্রতিনিধি: ব্যর্থতার ষোলো কলা পূর্ণ করল স্বঘোষিত টাইগাররা। মঙ্গলবার পাকিস্তানের কাছেও গোহারা হারলেন সাকিব আল হাসানরা। আর টানা ছয় ম্যাচ হেরে লজ্জার রেকর্ড গড়ে বিশ্বকাপ থেকে প্রথম দল হিসেবে বিদায় নিল বাংলাদেশ। আর এদিন টাইগারদের হারিয়ে শেষ চারে ওঠার লড়াইয়ে টিকে রইলেন বাবর আজমরা। দলে ফিরেই ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন ফখর জামান (৮১)। বাংলাদেশের পক্ষে মেহেদী হাসান ৬০ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন।
এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে শাহিন শাহ আফ্রিদি ও মহম্মদ ওয়াসিমের বোলিং তোপে ২০৪ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল টাইগাররা। মাহমুদুল্লাহ বাদে বাকি কোনও ব্যাটারই বিন্দুমাত্র প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। ব্যাটিং পিচে ২০৫ রানের লক্ষ্য নিয়ে নিয়ে খেলতে নেমে সতর্কভাবেই শুরু করেন দুই পাকিস্তানি ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক ও ফখর জামান। বাংলাদেশিদের তথাকথিত বাঘা বোলার তাসিক আমেদ-মুস্তাফিজুর রহমানদের ক্লাব পর্যায়ে নামিয়ে আনেন দুজনে। ৫৬ বলে ৯টি চারের সাহায্যে চতুর্থ অর্ধশতরান তুলে নেন শফিক। খানিকবাদে অর্ধশতরান করেন ফখর জামানও। তিনি অর্ধশতরান করতে নিয়েছেন মাত্র ৫১ বল। শেষ পর্যন্ত ১২৮ রানের মাথায় পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি ভেঙে দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন মেহেদী হাসান। সুইপ করতে গিয়ে মিস করে এলবিডব্লু হয়ে সাজঘরে ফেরেন আব্দুল্লাহ শফিক। রিভিউ নিয়েছিলেন পাক ওপেনার। কিন্তু লাভ হয়নি।
দ্বিতীয় উইকেটে জুটি বেঁধে ৩২ রান তোলেন ফখর ও বাবর আজম। যদিও আগের দুই ম্যাচে রান পাওয়া পাক অধিনায়ক এদিন বেশিক্ষণ ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। মাত্র ৯ রান করে মেহেদী হাসানের বলে ফিরে যান। এক সময়ে যেভাবে খেলছিলেন ফখর জামান তাতে মনে হচ্ছিল হয়তো প্রত্যাবর্তনের ম্যাচেই শতরান করবেন তিনি। কিন্তু ২৮ তম ওভারে মেহেদীর বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ওয়াইড লং অনে তাওহিদ হৃদয়ের হাতে ধরা পড়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। আউট হওয়ার আগে ৭৪ বলে তিনটি চার ও সাতটি ছক্কার সাহায্যে ৮১ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন। চতুর্থ উইকেটে জুটি বেঁধে ১৭.৩ ওভার বাকি থাকতেই মহম্মদ রিজওয়ান ও ইফতিখার আমেদ দলকে জয় এনে দেন। রিজওয়ান ২৬ এবং ইফতেখার ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন।