নিজস্ব প্রতিনিধি, বিশাখাপত্তনম: কলকাতার রানের পাহাড়ে চাপা পড়ল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দিল্লি। সুনীল নারাইন ও অঙ্গকৃশ রঘুবংশীদের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের সুবাদে প্রথমে ব্যাট করে ২৭২ রান তুলেছিল কলকাতা। যা আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয সর্বোচ্চ রান। ওই পাহাড়সম রান তাড়া করতে নেমে ১৭.২ ওভারে মাত্র ১৬৬ রানে গুটিয়ে গেল দিল্লি ক্যাপিটালস। অধিনায়ক ঋষভ পন্থ আর ত্রিস্তান স্টাবসই খানিকটা লড়াই করলেন। দিল্লির বাকি ব্যাটাররা চরম ব্যর্থ। টানা তিন ম্যাচে জয় এবং নেট রান রেটের সুবাদে রাজস্থানকে টপকে ফের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে চলে গেলেন শ্রেয়স আইয়াররা।
বুধবার রাতে বিশাখাপত্তনমে ২৭৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় দিল্লি। দ্বিতীয় ওভারেই বৈভব অরোরার বলে ফিরে যান ওপেনার পৃথ্বী শ (৭ বলে ১০)। পরের ওভারে মিচেল মার্শকে শূন্য রানে ফিরিয়ে দেন আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে দামী খেলোয়াড় মিচেল স্টার্ক। পরের ওভারে শূন্য রানে ফেরেন অভিষেক পোড়েল। যার উপরে দিল্লির সমর্থকরা অনেকটা আশা করেছিলেন সেই ডেভিড ওয়ার্নার এদিন ছিলেন অনেকটাই ম্রিয়মান। মাত্র ১৮ রান করে স্বদেশীয় স্টার্কের বলে ফিরে যান। ৫ ওভারের মধ্যে মাত্র ৩৩ রানে চার উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ে যায় দিল্লি। তখনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল সৌরভের দলের ভাগ্য লিখন। আদৌ ১০০ রানের গণ্ডি দিল্লি পেরোতে পারবে কিনা, তা নিয়ে চর্চাও শুরু হয়।
পঞ্চম উইকেটে জুটি বেঁধে কলকাতার বোলারদের আক্রমণ প্রতিহত করার চেষ্টা করেন দিল্লি অধিনায়ক ঋষভ পন্থ ও ত্রিস্তান স্টাবস। দুজনেই পাল্টা ঝড় তুলে নাইট শিবিরের উপরে খানিকটা চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। ঋষভকে ফিরিয়ে ৯৩ রানের জুটি ভেঙে কলকাতাকে ব্রেক থ্রু এনে দেন বরুণ চক্রবর্তী। ২৫ বলে চারটি চার ও পাঁচটি ছক্কার সাহায্যে ৫৫ রান করে আউট হন দিল্লি অধিনায়ক। পরের বলে অক্ষর পটেলকে (০) সাজঘরে ফেরান বরুণ। একা কুম্ভ হয়ে খানিকটা লড়াই চালিয়েছিলেন স্টাবস। তাঁকে ফিরিয়ে ফের দিল্লির জয়ের আশায় ছাই ঢেলে দেন বরুণ চক্রবর্তী। ৩২ বলে ৫৪ রান করেন স্টাবস। তিনি ফেরার পরেই তাসের ঘরের মতো হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে দিল্লির ব্যাটিং লাইন আপ। শেষ পর্যন্ত ১৭.২ ওভারে ১৬৬ রানে থেমে যায় দিল্লির ইনিংস। বরুণ চক্রবর্তী ৩৩ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন।