নিজস্ব প্রতিনিধি : ধর্ষণের শিকার ১৪ বছরের কিশোরীর গর্ভপাতের অনুমতি প্রত্যাহার করে নিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রথমে শীর্ষ আদালত কিশোরীকে গর্ভপাতের অনুমতি দিয়েছিল। তবে কিশোরীর বাবা-মায়ের আর্জি মেনে আদালত তা প্রত্যাহার করে নিল।
এদিন ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মারফত কিশোরীর মা-বাবার সঙ্গে কথা বলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। কিশোরীর মা-বাবা প্রধান বিচারপতিকে জানান, তাঁরা তাঁদের মেয়ের স্বাস্থ্য নিয়ে খুব চিন্তিত। কিশোরীকে যদি গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হয়, তাহলে শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। শীর্ষ আদালত যেন বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে। মা-বাবার আর্জি মেনে এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, কিশোরীর স্বাস্থ্যের বিষয়টিও বিবেচনা করা প্রয়োজন। সেইসঙ্গে যে শিশুটি জন্ম নিতে চলেছে, তার বিষয়টিও বিবেচনা করা প্রয়োজন।
এর আগে গত ২২ এপ্রিল ধর্ষণে শিকার হওয়া কিশোরীকে গর্ভপাতের অনুমতি দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ১৪ বছরের ওই কিশোরী ৩০ সপ্তাহের অন্তঃস্বত্ত্বা ছিলেন। ভারতীয় আইন অনুযায়ী, ২৪ সপ্তাহের বেশি যদি কেউ অন্তঃস্বত্ত্বা থাকেন, তাহলে তাঁকে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হয় না। কিন্তু তা সত্বেও শীর্ষ আদালত বিষয়টিকে বিরলতম দৃষ্টান্ত হিসাবে আখ্যা দিয়ে গর্ভপাতের অনুমতি দিয়েছিল। যদিও এদিন তা প্রত্যাহার করে নেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি।