নিজস্ব প্রতিনিধি, লখনউ: প্রথম ১০ ওভার শেষে পঞ্জাব কিংসের রান ছিল বিনা উইকেটে ৯৮। লখনউয়ের খেলোয়াড়রা তো বটেই দলের অতি বড় সমর্থকরাও তখন ভাবেননি, ম্যাচে হারবেন শিখর ধাওয়ানরা। কিন্তু এক ২১ বছরের তরুণ পেসার ঘুরিয়ে দিলেন গোটা ম্যাচের রং। বল হাতে নাস্তানাবুদ করলেন পঞ্জাবের খেলোয়াড়দের। হারা ম্যাচে দলকে জেতালেন। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৯৯ রান তুলেছিল লখনউ। জয়ের জন্য ২০০ রান তাড়া করতে নেমে ১৭৮ রানে থমকে গেল পঞ্জাব। ফলে ২১ রানে হারের লজ্জা পেতে হল শিখর ধাওয়ানদের।
জয়ের জন্য খেলতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেছিলেন পঞ্জাবের দুই ওপেনার শিখর ধাওয়ান ও জনি বেয়ারস্টো। তাদের দাপটে ঘরের মাঠে খাবি খাচ্ছিলেন লখনউয়ের বোলার-ফিল্ডাররা। ৩১ রানে নিজের অর্ধ শতরানে পৌঁছে গিয়েছিলেন পঞ্জাব অধিনায়ক। উল্টোপ্রান্তে থাকা ইংলিশ ব্যাটারও পাল্লা দিয়ে রান তুলছিলেন। ১০ ওভার শেষে পঞ্জাবের রান ছিল বিনা উইকেটে ৯৮। শেষ ১০ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১০২ রান। হাতে ১০ উইকেট।
কিন্তু ১০ ওভারের পরেই সব হিসাব ওলটপালট হয়ে গেল। আর সেই হিসাব পাল্টে দিলেন ময়াঙ্ক যাদব নামে এক তরুণ পেসার। তার দুরন্ত গতির বল খেলতে গিয়ে খাবি খেলেন জনি বেয়ারস্ট। ২৯ বলে ৪২ রান করে ফিরে গেলেন সাজঘরে। এর পরে তিন নম্বরে নামা প্রভসিমরান পাল্টা আক্রমণের পথে হাঁটার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তার ঝড়কেও থামান ময়াঙ্ক।মাত্র ৭ বলে ১৯ রান করেন প্রভসিমরান। পঞ্জাব সমর্থকরা আশায় ছিলেন জিতেশ শর্মা লড়াই করবেন। কিন্তু ময়াঙ্কের গতিময় বলের সামনে তিনিও ঠকঠক করে কাঁপতে কাঁপতে ৯ বলে ৬ রান করে সাজঘরে ফিরলেন। একদিকে দাঁড়িয়ে থেকে পর পর সতীর্থদের সাজঘরে ফেরা দেখতে থাকেন পঞ্জাব অধিনায়ক। তার উচিত ছিল ময়াঙ্কের সামনে রুখে দাঁড়ানো। তা না করে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেন। তবে বেশিক্ষণ বাঁচতে পারলেন না। ১৭তম ওভারে পঞ্জাব শিবিরে জোড়া ধাক্কা দেন লখনউয়ের মহসিন খান। দ্বিতীয় বলে ফিরিয়ে দেন শিখর ধাওয়ানকে (৭০) আর পরের বলে স্যাম কুরানকে (০)। ওখানেই স্পষ্ট হয়ে যায় ম্যাচের ভাগ্য। শেষের দিকে লিয়াম লিভিংস্টোন ও শশাঙ্ক সিং অসম্ভব টার্গেটকে তাড়া করার পিছনে আর হাঁটেননি।