নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: সাত বছর আগের পুনরাবৃত্তি হলো না। শুক্রবার দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে ১৩২ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই একদিনের সিরিজ জিতে নিলেন জস বাটলাররা। ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছিলেন ইংলিশ ওপেনার জেসন রায়। আর বল হাতে আগুন ঝরালেন সাম কুরান।
মিরপুর স্টেডিয়ামে এদিন টসে জিতে ইংল্যান্ডকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল। শুরুতেই ধাক্কা খায় সফরকারী দল। ১৫ বলে ৭ রান করা ফিল সল্টকে ফিরিয়ে প্রথম ব্রেক থ্রু আনেন তাসকিন আমেদ। এর পরে ডেভিড মালানকে জুটি গড়ে দলের বিপদ সামাল দেন জেসন রয়। আগের ম্যাচের নায়ক মালানকে (১১) দ্রুত ফিরিয়ে দেন মিরাজ। ২১তম ওভারে জেমস ভিন্সকে সাজঘরের পথ দেখান তাইজুল। অধিনায়ক জস বাটলাসর ও জেসন রয় জুটি বেঁধে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান। ১০৪ বলে ক্যারিয়ারের ১২ তম শতরান পূর্ণ করেন রয়। শেষ পর্যন্ত ৩৬তম ওভারে সাকিবের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ইংলিশ ওপেনার (১২৪ বলে ১৩২ রান)। ৬৪ বলে ৭৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে দলকে রানের পাহাড়ে পৌঁছে দেন অধিনায়ক জস বাটলার। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩২৭ রান সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সমস্যায় পড়ে টাইগাররা। প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে সাম কুরানের শিকার হন লিটন দাস। শূন্য রানে ফেরেন। পরের বলে আউট হন আগের ম্যাচে বড় রান করা নাজমুল হাসান শান্ত। মুশফিকুর রহিমও জ্বলে উঠতে ব্যর্থ হন। এর পরে জুটি বেঁধে দলের বিপদ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান। দুজনে দেখেশুনেই খেলছিলেন। চতুর্থ উইকেটে ৭৯ রান যোগ করেন। টাইগার অধিনায়ককে (৬৫ বলে ৩৫) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মঈন আলি। তামিম ফেরার পরে মাহমুদুল্লাহকে নিয়ে দলকে টেনে নিয়ে যান সাকিব। তাঁকে (৬৯ বলে ৫৮ রান) সাজঘরে ফেরান আদিল রশিদ। মাহমুদুল্লাহ ৩২, আফিফ হোসেন ২৩ ও মেহেদী হাসান ৭ রানে ফিরে যান। ভালো খেললেও তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে রান আউট হন তাসকিন আমেদ (২১ বলে ২১ রান)। পরের বলেই তাইজুল ইসলামের উইকেট ছিটকে দলকে ১৩২ রানে জয় এনে দেন ইংলিশ বোলার সাম কুরান।