নিজস্ব প্রতিনিধি: কিছুদিন আগে যুবভারতীয় সাক্ষী ছিল ডুরান্ডের। করোনার পর সে অর্থে কলকাতায় সেটাই প্রথম বড় ম্যাচ। আর রবিবার যুবভারতীতে শুরু হল ডার্বি। সাত মাস বাদে মুখোমুখি দুই প্রতিপক্ষ। ডার্বি শেষ হওয়ায় দিন কয়েক আগে থেকেই টিকিটের হুড়োহুড়ি শুরু হয়। আর রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় শহরের স্রোত ছিল স্টেডিয়ামমুখী। বিকেল পাঁচটাতেও টিকিট কেনার জন্য ছিল আগ্রহ। আর প্রথমার্ধে সবুজ মেরুন এক গোলে এগিয়ে যাওয়ায় দলের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে
চলতি বছর জানুয়ারিতে শেষবার মুখোমুখি হয়েছিল দুই প্রধান। সেটা ছিল আইলিগের ম্যাচ। ফলাফল ছিল ২-১। কিন্তু মাঝে করোনা ঝড় তোলায় লিগের ফিরতে পর্বের খেলা বাতিল করে দিতে হয়। তারপর আবার রবিবার প্রতিপক্ষ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই শিবির।
ডার্বিতে কোনও দলকে এগিয়ে রাখা মুশকিল। ম্যাচ যে কোনও সময়ে যে কোনওদিকে ঘুরে যেতে পারে। তবে ডার্বির আগে দুই দলই জয়হীন।তবে মোহনবাগান প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছে, দ্বিতীয় ম্যাচের ফলাফল গোলশূন্য। অন্যদিকে, ইস্টবেঙ্গল দুটি ম্যাচেই ড্র করেছে। সেই পরিসংখ্যানের নিরিখে মোহনবাগান কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাসী। ওদিকে, আবার প্রতিপক্ষ শিবির মোহনবাগান হওয়ায় লাল-হলুদ শিবির ড্র করেও সবুজ-মেরুনকে হারাতে টগবগ করে ফুটছে।
ফলে, রবিবারের ডার্বিতে শেষ হাসি কে হাসবেন, সে দিকে তাকিয়ে সব পক্ষ। লাল-হলুদ শিবির বলছে, এই ম্যাচে তাদের জয় নিশ্চিত। একই দাবি সবুজ –মেরুনের সমর্থকদের। ম্যাচের শুরু থেকেই দুই শিবির দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই শুরু করেছে। যার থেকে স্পষ্ট বিনা রণে নাহি দিব সূচাগ্র মেদিনী।