নিজস্ব প্রতিনিধি, মুম্বই: ঈশান কিশন আর সূর্যকুমার যাদবের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের সুবাদে ঘরের মাঠে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে উড়িয়ে দিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ২৭ বল বাকি থাকতেই হাতে সাত উইকেট রেখে সহজ জয় পেল হার্দিক পাণ্ড্যর দল। টানা চার ম্যাচ হেরে অনেকটাই বিপাকে পড়ে গেলেন বিরাট কোহলিরা।
বৃহস্পতিবার রাতে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে আট উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রান তুলেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই তাণ্ডব চালাতে শুরু করেন ইশান কিশন। মোহাম্মদ সিরাজ-আকাশদীপ সিংদের নিয়ে কার্যত চেলেখেলা করেন। মাত্র ২৩ বলে ৫টি চার ও চারটি ছক্কার সাহায্যে অর্ধশতরান তুলে নেন। ঈশান ও রোহিত প্রথম উইকেটে জুটি বেঁধে ৫১ রানেই দলকে শতরানের গণ্ডি পার করিয়ে দেন। শেষ পর্যন্ত ঈশানের তাণ্ডব থামান আকাশদীপ। ৩৪ বলে সাতটি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৬৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন মুম্বইয়ের ওপেনার। এর পরে রোহিত শর্মা ও সূর্যকুমার যাদব জুটি বেঁধে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান। ২৪ বলে তিনটি চার ও তিনটি ছয়ের সাহায্যে ৩৮ রান করে ফিরে যান রোহিত।
চার নম্বরে ব্যাট করতে নামার সময়েই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্যকে কটূক্তি করতে থাকেন দর্শকরা। সেই কটূক্তির জবাব দিতে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান মুম্বই অধিনায়ক। এর পরে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামজুড়ে চার আর ছক্কার ফুলঝুরি ছোটাতে থাকেন দুজনে। ১১.৫ ওভারেই ১৫০ রানের গণ্ডি পেরিযে যায় মুম্বই। ৫টি চার ও চারটি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ১৭ বলেই অর্ধ শতরান তুলে নেন টি টোয়েন্টির বিশ্ব সেরা সূর্য। যদিও অর্ধ শতরানের পরে বেশিক্ষণ টেঁকেননি তিনি। বিজয় কুমারের বলে সাজঘরে ফেরেন। যদিও তখন জয়ের মুখে দাঁড়িয়েছিল মুম্বই। হার্দিকের সঙ্গে জুটি বেঁধে তিলক ভার্মা দলকে কাঙ্খিত জয় এনে দেন। মুম্বই অধিনায়ক মাত্র ৬ বলে ২১ এবং তিলক ১০ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থেকে যান। এদিনের বিশাল জয়ের সুবাদে পয়েন্ট তালিকায় পঞ্জাব কিংসকে সরিয়ে সাত নম্বরে উঠে এসেছে মুম্বই।