নিজস্ব প্রতিনিধি: নারীদের দাবা প্রতিযোগিতায় ধরা পড়লেন এক বোরখা পড়া পুরুষ প্রতিযোগী। কিন্তু কেন তাঁর এই সিদ্ধান্ত জানলে চমকে উঠবেন আপনিও। দারিদ্রতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পেতেই এমন কাজ করেছিলেন কেনিয়ার এক যুবক। তাঁর নাম স্ট্যানলি ওমোন্ডি।
দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করা যে কত ভয়ঙ্কর তা যাঁরা করেন তাঁরাই বোঝেন। দারিদ্রতা একদিকে মানুষের স্বপ্নকে যেমন চুরমার করে দেয়, তেমনই মানুষকে ঠেলে আরও গভীরে। এমনই এক ঘটনা ঘটল আফ্রিকার ছোট্ট দেশ কেনিয়াতে। যে দেশের অর্থনৈতিক দূরাবস্থার কথা কারোর আজ অজানা নয়।
কেনিয়ার এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি কেনিয়ায় আয়োজিত হয়েছিল এক মহিলা দাবা প্রতিযোগিতা। যে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন দেশের নামকরা সব প্রথম সারির খেলোয়াড়রা। প্রতিযোগিতার পুরস্কারের অর্থমূল্য ছিল যথেষ্ট নজরকাড়া। তাই দেখে ওই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন স্ট্যানলি। বোরখা পড়ে নিজের নাম পরিবর্তন করে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে চমক দেখাতে শুরু করেছিলেন ওই যুবক। তাঁর কাছেই একে একে পরাজিত হতে থাকেন কেনিয়ার প্রথম সারির সব মহিলা দাবাড়ুরা।
সন্দেহের সূত্রপাত তখনই। এরপরই কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয় স্ট্যানলির প্রতি। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় আলাদা ঘরে। সেখানেই স্ট্যানলি স্বীকার করেন তিনি আদতে মহিলা নন, একজন পুরুষ।
আরও জানতে পড়ুন: ছোটোদের মিনি ডার্বিতে জয় ইস্টবেঙ্গল-এরhttps://www.eimuhurte.com/sports/east-bengal-win/
তারপরই আসল রহস্যের উন্মোচন। স্ট্যানলি আসলে একজন স্টুডেন্টস। সে পড়াশোনা করে কেনিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্বপ্ন দেখে পড়াশোনা করে আরও বড় হবার। ভালো চাকরি করবার। তাহলেই তো সে ও তাঁর পরিবার মুক্তি পাবে দারিদ্রতার শৃঙ্খল মোচন থেকে। কিন্তু পড়াশোনা চালাতে গেলে দরকার অর্থ। যা তাঁর পরিবারের নেই। তাই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে সে স্বপ্ন দেখেছিল ওই অর্থ দিয়েই পড়াশোনা চালাবে।
না স্ট্যানলির সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি ঠিক কথাই, কিন্তু স্ট্যানলির স্বীকারোক্তির জন্য তাঁকে কোনও শাস্তিও দেননি কর্তৃপক্ষ। বরঞ্চ গোটা বিশ্বে এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরই স্ট্যানলির প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বহু মানুষ।