নিজস্ব সংবাদদাতা : একটা দল দূরন্ত ছন্দে থেকে যখন কোনও ট্রফি জয় করে তখন তার বডি ল্যাঙ্গুয়েজই পাল্টে যায়। সেই দৃশ্যই এখন ফুটে উঠছে গোটা সবুজ-মেরুন দলে ।
২০২২-২৩ আইএসএল যখন শুরু হয়েছিল, তখন অতিবড় মোহনবাগান সমর্থকও হয়তো ভাবতে পারেননি তাঁদের দল চ্যাম্পিয়ন্স হবে। তাও আবার কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে ঘরের মাঠে বেঙ্গালুরুর মতো দলকে হারিয়ে। এবার সেই আত্মবিশ্বাসই বজায় রাখতে মরিয়া বাগানের হেডস্যার হুয়ান ফার্নান্দো।
আইএসএল এখন তাঁর কাছে অতীত। গোয়ায় থাকাকালীন হয়তো ফার্নান্দো বুঝতে পারেননি কলকাতা ফুটবলে ট্রফি জয়টাই শেষ কথা। আইএসএল জিতে তা নিয়ে এতদিনে বুঝে গিয়েছেন হাবেভাবে। তাই আইএসএল নিয়ে এখন আর মাথা না ঘামিয়ে পুরোদমে দল নিয়ে নেমে পড়েছেন অনুশীলনে। এই মুহূর্তে ভারতের সেরা দলের কোচ তিনি। কাজেই তাঁর ওপর যে বাড়তি চাপ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কাজেই আইএসএল-এর মতো সুপার কাপও জয় করতে মরিয়া বাগান কোচ।
আরও জানতে পড়ুন: হার্দিককে চিন্তায় রাখছে দিল্লির পিচhttps://www.eimuhurte.com/sports/groundreport-and-delhi-record/
ছুটি কাটিয়ে দল নিয়ে তাই এখন সল্টলেক স্টেডিয়াম সংলগ্ন মাঠে অনুশীলনে মত্ত তিনি। পাত্রিতস, লিস্টনদের যাতে কোনও অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস না আসে সেদিকেও নজর রয়েছে তাঁর। তিরি দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ায় ডিপ ডিফেন্স নিয়ে হুয়ান-এর যে একটা টেনসন ছিল তা অনেকটাই মিটে গিয়েছে। প্রীতম, শুভাশিষ, আশীষ রাইরাও ছন্দে রয়েছেন। কিন্তু জনি কাউকো চোটের কারণে ছিটকে যাওয়ায় তাঁর বিকল্প এখনও দলে পাননি হুয়ান। তবে সেই জায়গায় আশিক কিছুটা চেষ্টা করলেও, কাউকোর মতো মিডফিল্ডার যে তিনি নন, সেটা বুঝে গিয়েছেন কোচ নিজেও। তাই পেত্রিতস অথবা মাঝে মাঝে হ্যামিলকে হয়তো ডিফেন্সসিভ ব্লকার হিসেবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে হুয়ানের।
তবে ফুটবল বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন দামিত্রি পেত্রিতসকে একটা নীচে থেকে অপারেট করলে মনবীর আপফ্রন্টে একা পড়ে যাবেন। সেই জায়গায় বৌমাসকে তাঁর নিজের পছন্দের জায়গায় খেলিয়ে গ্লেনকে ডিফেন্সিভ ব্লকার হিসেবে দুই স্টপারের মাঝখানে খেলানো উচিত। তাহলে সবুজ-মেরুন ব্রিগেডে আপফ্রন্ট অনেক বেশি সচল থাকবে। তবে মনবীর যে ফর্মে রয়েছেন তাতে হুয়ানের চিন্তা অনেকটাই কম। এছাড়া মাঝে মাঝে তাঁকে সাহায্য করার জন্য তাঁর তুরুপের তাস কিয়ান তো আছেই। কাজেই আইএসএল-এর মতো সুপার কাপও জিততে মরিয়া হুয়ান ফার্নান্দো।