নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: বিশ্বকাপে খেলতে বুধবারই ভারতের উদ্দেশে রওনা হয়েছে স্বঘোষিত টাইগার বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। আর লিটন দাস-নাজমুল হোসেন শান্তদের ঢাকা ত্যাগের খানিক পরে ফেসবুক লাইভে এসে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ঠাঁই না পাওয়া দেশের সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। কারও নাম নিলেন না বটে কিন্তু আভাসে-ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিলেন তাঁকে বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ দিতে গভীর ষড়যন্ত্র চলেছিল। নাম না করলেও দেশের সেরা খেলোয়াড়ের বাদ যাওয়ার পিছনে যে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে আর প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে তা দেশের আম জনতার কাছে ওপেন সিক্রেট।
গতকাল মঙ্গলবারই বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের বাংলাদেশ দল ঘোষণা করা হয়। ওই দলে যে দেশের সেরা খেলোয়াড় তামিমের ঠাঁই হবে না তা দুপুরেই পরিষ্কার হয়েছিল। রাতে বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করতে গিয়ে তামিমের বাদ পড়া নিয়ে একের পর এক ছেঁদো যুক্তি দেখিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতির ‘আজ্ঞাবহ ক্রীতদাস’ হিসেবে পরিচিত প্রধান নির্বাচক নান্নু। প্রশ্নবাণে জর্জরিত হয়ে কার্যত সাংবাদিক সম্মেলন ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। এদিন সকালেই ফেসবুকে এক পোস্টে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে তাঁর ঠাঁই না পাওয়া নিওয়ে বিসিবির পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমে যে গল্প ছড়ানো হয়েছে তা নিয়ে মুখ খুলবেন বলে জানিয়ে দেন তামিম।
তিনি কী বলেন, সে দিকে সজাগ দৃষ্টি রেখেছিলেন গোটা দেশবাসী। বিকেলে কথামতো ফেসবুক লাইভে এসে কারও নাম না নিয়ে তাঁকে বাদ দেওয়া নিয়ে বিসিবির কর্তাদের একাংশের গভীর ষড়যন্ত্রের কথা খোলসা করেন দেশের সেরা ওপেনার । তামিম জানিয়েছেন, ফিজিও’র রিপোর্টে তিনি খেলতে পারবেন না এমন কিছু ছিল না। বিশ্বকাপে পাঁচ ম্যাচের বেশি খেলতে পারবেন না এমন কথাও বলেননি। গত ৩-৪ মাস তার সঙ্গে যা ঘটেছে তা পরিকল্পিত। সেই সঙ্গে জানিয়ে দেন, নিজেকে নোংরামির মধ্যে রাখতে চাননি বলেই সসম্মানে সরে গিয়েছেন। তামিমের ফেসবুক লাইভের পরেই শেখ হাসিনার পোষ্যভৃত্য তথা বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের ইস্তফার দাবিতে সরব হয়েছেন ক্রিকেট অনুরাগীরা।