আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এক জঘন্য ঘটনার সাক্ষী রইল প্রিমিয়ার লিগ ফুটবল। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে আটকাতে তাঁর পেটে সজোরে লাথি মারলেন ফুটবলার। ন্যক্করজনক ঘটনাটি রেফারির চোখে পড়ে। তিনি ওই ‘হিংস্র’ ফুটবলারকে লালকার্ড দেখিয়ে মাঠের বাইরে বের করে দেন। সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ফুটবলারকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। তার আঘাত গুরুতর। ঘটনা মলিনিওক্সের স্টেডিয়ামের, শুক্রবার।
শুক্রবার প্রিমিয়াম লিগের ম্যাচ ছিল ওলভারহ্যাম্পটন বনাম ম্যাঞ্চেস্টার সিটির। তাদের মিড ফিল্ডার জ্যাক গ্রিলিশ পেটে লাথি মারেন প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার নাথান কলিনসকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই ঘটনা।
ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, নাথান কলিনসকে লক্ষ্য করে দলের খেলোয়াড় শূন্যে বল ভাসিয়ে দেন। নাথান চেয়েছিলেন বল মাটিতে পড়ার আগে হেড করে জালে ঢুকিয়ে দিতে। বল লক্ষ্য করে সে এগোতে গেলে উল্টোদিক থেকে ধেয়ে আসেন গ্রিলিশ। বল কেড়ে নেওয়ার বদলে শূন্যে উঠে নাথানের পেটে লাথি মারেন। লাথির ধাক্কায় কয়েক হাত দূরে ছিটকে পড়েন কলিনস। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পকেট থেকে লালকার্ড বের করে জ্যাক গ্রিলিশকে মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
রেফারির ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে দলের বাকিরা রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করে। তাদের বক্তব্য, জ্যাক ইচ্ছাকৃতভাবে লাথি মারেনি। শূন্যে উঠে বলে শট মারতে গিয়েছিলেন। বল পায়ে লাগার পরিবর্তে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারের পেটে লাগে। যদিও ম্যাচ রেফারি সিদ্ধান্তে অবিচল ছিলেন। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, গ্রিলিশকে মাঠ ছাড়তে হবে। উল্লেখ করার মতো বিষয় হল, জ্যাক গ্রিলিশ যে জেনে-শুনেই নাথানকে লাথি মেরেছেন, সেটা তাঁর চোখ-মুখ থেকে স্পষ্ট।