নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মশালা: ট্র্যাভিস হেডে ও ডেভিড ওয়ার্নারের দুর্দান্ত সূচনা সত্বেও নিচের সারির ব্যাটারদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতায় নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪০০ রানের গণ্ডি টপকাতে পারল না অস্ট্রেলিয়া। মাত্র এক রানে চার উইকেট খোয়ানোয় ৪৯.২ ওভারে ৩৮৮ রানেই থেমে যায় অজিদের ইনিংস। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে গ্লেন ফিলিপস ও ট্রেন্ট বোল্ট তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন।
শনিবার টসে জিতে প্রথমে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাট করতে পাঠান নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম লাথাম। তাঁর সিদ্ধান্ত কার্যত ব্যুমেরাং হয়ে যায়। চোট সারিয়ে এদিন বিশ্বকাপে প্রথমবার খেলতে নামা ট্র্যাভিস হেড ও ডেভিড ওয়ার্নার শুরু থেকেই ঝড় তোলেন। কিউই বোলারদের তুলোধনা করতে থাকেন। দুই অজি ব্যাটারের নির্দয় প্রহারের সামনে লাইন ও লেংথ হারিয়ে ফেলেন ম্যাট হেনরি-ট্রেন্ট বোল্টরা। যেভাবে ব্যাট করছিলেন দুই অজি ওপেনার তাতে মনে হচ্ছিল শতরান না করে থামবেন না। শেষ পর্যন্ত ডেভিড ওয়ার্নারকে (৮১) থামান গ্লেন ফিলিপস। প্রথম ম্যাচে শতরান করার খানিকবাদে ফিলিপসের বলেই ফেরেন ট্র্যাভিস হেড। আউট হওয়ার আগে ১০টি চার আর সাতটি ছক্কার সাহায্যে ৬৭ বলে ১০৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। আগের ম্যাচে রান পেলেও এদিন জ্বলে ওঠার সুযোগ হাতছাড়া করে দ্রুত ফেরেন স্টিভ স্মিথ (১৮)। ভাল খেলতে খেলতে দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো শট নিতে গিয়ে আউট হয়ে যান মিচেল মার্শ (৩৬)। মার্নুস লাবুশানেও (১৮) বেশিদূর এগোতে পারেননি।
এর পরে ষষ্ঠ উইকেটে জুটি বেঁধে দলকে ৫১ রান উপহার দেন আগের ম্যাচে দ্রুততম শতরানের রেকর্ডগড়া গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও উইকেটরক্ষক জোস ইংলিশ। মারমুখী হতে গিয়ে জেমস নিশামের বলে সাজঘরে ফেরেন ম্যাক্সওয়েল। তার আগে ২৪ বলে ৪১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। ২৮ বলে ৩৮ করে আউট হন ইংলিশ। অজি অধিনায়ক প্যাট কামিংসও তাণ্ডব চালান। ১৪ বলে ৩৭ রান করে আউট হন। আর তার পরেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং। এক রান যোগ হতে না হতে পর পর ফিরে যান মিচেল স্টার্ক (১), অ্যাডাম জাম্পা (০)। ৪৯.২ ওভারে ৩৮৮ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস।