আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পূর্ণ হল শ্রীলঙ্কা ( Sri Lanka) বিক্ষোভের একশো দিন। প্রেসিডেন্ট পদে গোতাবায়ার(Gotabaya Rajapaksa) ইস্তফার দাবিতে এই দিনে পথে নেমেছিলেন দ্বীপরাষ্ট্রের বাসিন্দারা। গোতাবায়া প্রথম দিকে ইস্তফা দিতে অস্বীকার করেন। অন্যদিকে, জনতাও (Mass) তাদের দাবিতে অনড় ছিলেন। প্রেসিডেন্টপদে থাকাকালীন দেশ ছেড়ে পালান গোতাবায়া রাজাপক্ষে। বুধবার রাতে দ্বীপরাষ্ট্র ছেড়ে পালান মালদ্বীপ (Maldives) । সেখান থেকে সৌদি আরবের বিমানে পৌঁছন সিঙ্গাপুর।সিঙ্গাপুর থেকে তিনি পার্লামেন্টের স্পিকারকে (Speaker) ই-মেল করে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন। পরিস্থিতি আপাতত শান্ত। দ্বীপরাষ্ট্রের বাসিন্দারা নতুন প্রেসিডেন্ট (President) নির্বাচন করবেন। ভোট ২০ জুলাই। গোতাবায়া রাজাপক্ষে প্রেসিডেন্ট পদে ইস্তফা দেওয়ায় আপাতত অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট পদে নিয়োগ করা হয় রনিল বিক্রমসিংহকে।
প্রেসিডেন্ট পদে রনিল বিক্রম সিংহে ( Ranil Wickremesinghe) ছাড়াও রয়েছেন আরও তিনজন। এই তিনজন হলেন সাজিথ প্রেমাদাসা, মার্ক্সবাদী জনতা বিমুক্তি পেরামুনা (জেভিপি) বা পিপলস লিবারেশন ফন্টের নেতা অনূড়া কুমারা দেশনায়েকে এবং রাজাপক্ষের ক্ষমতাসীন দল শ্রীলঙ্কা পদুজানা পেরামুনা এদিকে, রনিল বিক্রম সিংহকে সমর্থন করছে এসএলপিপি।
গোতাবায়া রাজাপক্ষের ইস্তফার দাবিতে শ্রীলঙ্কায় প্রথম বিক্ষোভ শুরু হয় ৯ এপ্রিল। রাজাপক্ষের (Gotabaya Rajapaksa) দফতরের সামনে ক্যাম্প খাটিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পরে সেই বিক্ষোভ গণবিক্ষোভে (mass agitation) পরিণত হয়। বিক্ষোভ থামাতে সরকার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছিল। গুলি, লাঠি, কাঁদানে গ্যাস কিছুই বাদ যায়নি। প্রশাসন যত কঠোর হয়েছে, জনতার আন্দোলনের পারদ তত চড়েছে। কার্যত গণদাবির (mass) কাছে নতিস্বীকার করে প্রেসিডেন্ট পদে ইস্তফা দেন গোতাবায়া রাজাপক্ষে। শ্রীলঙ্কার ভবিষ্যৎ কী, সে দিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব।