নিজস্ব প্রতিনিধি: জিটিএ বা গোর্খাল্যাণ্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এ তরাই ও ডুয়ার্সের ৩৯৬টি মৌজাকে অন্তর্ভূক্তির দাবি জানিয়ে ফের পোস্টার ফেলল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। এই দাবিতে ডুয়ার্সের বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার লাগিয়েছে এই রাজনৈতিক দল। শনিবার ডুয়ার্সের বানারহাট এলাকায় এই পোস্টার দেখা যায়।
কিছুদিন বাদেই পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ তার আগেই তরাই ডুয়ার্সের ৩৯৬ টি মৌজাকে জিটিএর অন্তর্ভুক্ত করার দাবি ওঠায় উত্তাপ ছড়িয়েছে সমতলেও। ২০১১ সালে রাজ্য সরকার, কেন্দ্র এবং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার চুক্তির মাধ্যমে গঠিত হয় গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন৷ শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার এক নেতা জানান, চুক্তি অনুযায়ী ডুয়ার্স এবং তরাইয়ের ৩৯৬টি মৌজাকে গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অধীনে আনার কথা ছিল৷ কিন্তু গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতাদের অভিযোগ, এই মৌজাগুলি এখনও জিটিএর আওতায় আনা যায়নি৷ তাই তারা চাইছেন জিটিএ নির্বাচনের আগে এই ৩৯৬টি মৌজাকে জিটিএর অধীনে নিয়ে আসা হোক৷
গত এপ্রিল মাসে সাংবাদিক বৈঠক করে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ঘোষণা করেছিল, তরাই ডুয়ার্সের ৩৯৬ টি মৌজা জিটিএ তে অন্তর্ভুক্তের দাবিতে ডুয়ার্সের সর্বত্র গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার পক্ষ থেকে কর্মীসভা হবে। সেই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গোর্খা জনমুক্তি যুব মোর্চার ডুয়ার্স কমিটির চিফ কো অর্ডিনেটর মোনতোষ লামা, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মদন লামা , অমৃতা রাই , কালচিনি ব্লক সম্পাদক রাজেষ বরাইলি সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। সেই ঘোষণা অনুযায়ী এদিন পোস্টার ফেলল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা।
উল্লেখ্য, জিটিএ-র কাজ থমকে যায় ২০১৭ সালের পর। সেই সময় জিটিএ-র চেয়ারম্যান ছিলেন বিমল গুরুং। তিনি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রধানও। গুলিতে এক পুলিশ কর্মীর মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে ফেরার ছিলেন বিমল। এর পর আবার নির্বাচনের সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় পুরনো দাবিতে নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে এই দল। উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে বিমল গুরুং এর নেতৃত্বে এই দাবিগুলির ভিত্তিতে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। তাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল পাহাড় ও ডুয়ার্স।