-273ºc,
Friday, 2nd June, 2023 8:40 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি: সম্প্রতি পুরুলিয়া জেলা সফরে গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বি এল আর ও আধিকারিকদের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। এবার পুরুলিয়া জেলার ২ বি এল আর ও-কে সরিয়ে দিল নবান্ন। একটি নির্দেশিকা জারি করে পুরুলিয়া জেলার বলরামপুর ব্লকের বি এল আর ও-কে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু বলরামপুরের বি এল আর ও নয়, একইসঙ্গে ওই নির্দেশিকা হুরা ও আলিপুর সদরের আরও দুই বি এল আর ও অফিসের আধিকারিককে বদলি করা হয়েছে।
পুরুলিয়া জেলার বলরামপুর বি এল আর ও সজল মালাকারকে বদলি করে পাঠানো হয়েছে কোচবিহারে। তাঁকে অ্যাসিস্ট্যান্ট এল আর ও করে পাঠানো হয়। হুড়া বি এল আর ও অনুপম ভট্টাচার্য্যকে অ্যাসিস্ট্যান্ট এল আর ও করে পাঠানো হয়েছে উত্তর দিনাজপুরে। গত মে মাসের ৩০ তারিখ পুরুলিয়ায় প্রশাসনিক বৈঠক ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। সেখানেই জেলার ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের একশ্রেণির আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। এর পর প্রশাসনিক সভার মঞ্চ থেকেই ক্ষুব্ধ হয়ে জানিয়ে দেন ‘ব্লক ভূমি রাজস্ব অফিস ঘুগুর বাসা। অফিসের কাজ দোকানে হচ্ছে। কর্মচারীরাই করাচ্ছেন। ঘুষ না দিলে সাধারণ গরিব মানুষদের কাজ হচ্ছে না।’ খোদ মুখ্যমন্ত্রীর মুখে রাজ্য প্রশাসনের একটি দফতরের একটি জেলার এক ব্লক অফিসের এহেন সমালোচনা শুনে সোমবার কার্যত বাকরুদ্ধ হয়ে পড়লেন জেলা থেকে রাজ্যের প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। জেলার প্রশাসনিক আধিকারিক বা পুলিশ ছাড়াও যে বিকল্প পথে মুখ্যমন্ত্রী বড়সড় দুর্নীতি খুঁজে এনে তা সকলের সামনে তুলে ধরতে পারেন সেটা কেউ ভাবতেই পারেননি।
বলরামপুর বি এল আর ও অফিসের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, গ্রামের গরীব মানুষদের কাছ থেকে জমির মিউটেশন করার জন্য টাকা নিয়েছিলেন তাঁরা। এই অভিযোগ করার কয়েকঘন্টার মধ্যেই বলরামপুর বি এল আর ও অফিসের সামনে ২ দোকানের মালিক ও ১ মহুরি সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে বলরামপুর থানার পুলিশ। আর এবার রাজ্যের তিন বি এল আর ও অফিসের আধিকারিককে বদলি করল নবান্নে।