নিজস্ব প্রতিনিধি, উত্তর ২৪ পরগনাঃ উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার সন্দেশখালি সুন্দরবনের সিতুলিয়ার বাসিন্দা বছর ৬৫ মোরশেদ গাজী। অসুস্থ হয়ে চলতি মাসের ১২ই ,নভেম্বর হিঙ্গলগঞ্জ ১৩ নম্বর সানডেল বিল ব্লক হাসপাতালে ভর্তি হন। তারপর থেকে মোরশেদের আর খোঁজ নেয় না পরিবারের সদস্যরা। তাই গত ৪ দিন ধরে হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে শুরু করে নার্সেরা তার দেখা শোনার দায়িত্ব নেন। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে যাওয়ার পরেও শেষ রক্ষা হলো না। গতকাল বৃহস্পতিবার ১৬ই নভেম্বর চিকিৎসকরা জানান মোরশেদের মৃত্যু হয়। তাঁর সংশয় পত্রে মোরশেদের পরিবারের ফোন নম্বর দেওয়া থাকলেও হাসপাতাল থেকে ফোন করা হলেও তাঁরা ফোন তোলেন নি।
এমন কি ফোন লাইন কেটে দেয়।মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করছে তাঁর পরিবার। একবিংশ শতাব্দীতে আধুনিক সভ্যতায় মানুষ যে আজ অমানবিকতা সেটা আবারও প্রমাণিত হল। ২৪ ঘন্টা মৃতদেহ করে থাকার পরও পরিবারের লোক নিয়ে যেতে নারাজ। ইতিমধ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হিঙ্গলগঞ্জ পুলিশ প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানিয়েছে। পাশাপাশি বিডিও স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রশাসন থেকে শুরু করে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত ভাবে জানিয়েছে হাসপাতাল। কিন্তু মৃতদেহ এখনো পর্যন্ত কেউ নিতে আসেনি। যার ফলে সময় যত যাচ্ছে মৃতদেহে পচন শুরু হয়েছে দুর্গন্ধ ছরাচ্ছে হাসপাতালের চারদিকে।
ফলে সমস্যার মধ্যে পড়েছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া পার্শ্ববর্তী রোগীরা। আইনি জটিলতার মাধ্যমে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্রুত সমাধান চাইছে। হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শহীদুল্লাহ গাজী বলেন, এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক দুর্ভাগ্যজনক। কেন পরিবারের লোক তার মৃতদেহ নিয়ে যাচ্ছে না?প্রশাসনের তরফে যোগাযোগও করা হয়েছে। আমরা চাই মোরশেদের পরিবারের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। কেন তাঁর দেহ পরিবার নিচ্ছে না তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। তবে কবে মোরশেদের মৃতদেহ সৎকার হবে তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।