নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: দলের নতুন জেলা সভাপতির নাম ঘোষণার পরেই বাঁকুড়া জেলায় বিজেপি শিবিরে বিদ্রোহের ঢঙ্কা বেজে গেল। নতুন সভাপতির নাম ঘোষণার পরেই জেলার পাঁচ বিধায়কই দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। প্রকাশ্যে এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে কেউ মুখতে চাননি। তবে একসঙ্গে পাঁচ বিধায়কের বিদ্রোহে বাঁকুড়ার পদ্ম শিবিরে ত্রাহি-ত্রাহি রব পড়ে গিয়েছে। তবে একসঙ্গে পাঁচ দলীয় বিধায়কের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়াকে বিদ্রোহ হিসেবে মানতে নারাজ বাঁকুড়া জেলা বিজেপির নয়া সভাপতি সুনীল মণ্ডল। রাজনেতিক পর্যবেক্ষকরা অবশ্য মনে করছেন, পুরসভা ভোটের মুখে দলের এমন বিদ্রোহে জেলায় পদ্ম শিবিরের ভরাডুবি অনিবার্য।
গত বুধবার প্রথমে রাজ্য কমিটির পদাধিকারীর নাম ঘোষণা করেছিলেন বঙ্গ বিজেপির নয়া মুখিয়া সুকান্ত মজুমদার। সেই নাম ঘোষণার পরেই দলের অন্দরে বিদ্রোহের আগুন জ্বলে উঠেছিল। শনিবার জেলা সভাপতি ও জেলা ইনচার্জদের নাম ঘোষণার পরেই বিদ্রোহের আগুন দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে। রাজ্য কমিটি ও জেলা সভাপতি নিয়োগে মতুয়াদের গুরুত্ব না দেওয়ার অভিযোগে দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যান বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার পাঁচ বিধায়ক। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন বনগাঁর সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের দাদা সুব্রত ঠাকুর।
পাঁচ মতুয়া বিধায়কের বিদ্রোহে যখন চরম বিড়ম্বনায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, তখনই তাঁর অস্বস্তি বাড়িয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যান বাঁকুড়ার পাঁচ বিধায়ক নির্মল ধাড়া, দিবাকর ঘরামি, হরকালী পতিহার, অমরনাথ শাখা এবং নীলাদ্রি শেখর দানা। তার মধ্যে প্রথম চার জনই দলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার অন্তর্গত বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। বিষ্ণুপুরের সভাপতির পদ থেকে সুজিত অগস্তিকে সরানোর প্রতিবাদেই চার বিধায়ক দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন বলে সূত্রের খবর। যদিও বিদ্রোহী পাঁচ বিধায়কের কেউই সংবাদমাধ্যমের কাছে এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুলতে চাননি।