নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ(Health and Family Welfare) দফতরের চুক্তিভিত্তিক কর্মী(Contract Base Employee) নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court) দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। ওই মামলা দায়ের করেছেন পীযূষ পাত্র নামে এক ব্যক্তি। তাঁর দাবি, রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের ১১,৫২১ পদে যে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে তা নিয়ে দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে। কেননা ওই নিয়োগের জন্য তৈরি জেলার নির্বাচন কমিটির সদস্যরা প্রায় সবাই শাসকদলের নেতা-মন্ত্রী। সেক্ষেত্রে ফলে এই নিয়োগে স্বজনপোষণ বা দুর্নীতির তীব্র সম্ভাবনা থাকছে। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। সেখানেই ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারের কাছ থেকে এই নিয়োগ নিয়ে আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। তার আগেই জমা দিতে হবে রিপোর্ট।
এই মামলায় পীযূষ পাত্রের হয়ে সাওয়াল করেন আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুদীপ্ত দাশগুপ্ত। শুনানির সময়ে সওয়ালে তাঁরা বলেন, ‘এই নিয়োগের জন্য জেলাস্তরে ২৮ জনের একটি নির্বাচন কমিটি গঠন করা হয়েছে। সরকারি আধিকারিকের পরিবর্তে ওই কমিটিতে রয়েছেন শুধু শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা। স্বজনপোষণ বা দুর্নীতি করার জন্যই কি এই পদক্ষেপ করা হয়েছে? গত বছর নভেম্বরে রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে নির্বাচন কমিটিতে রয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, গৌতম দেব, চন্দ্রনাথ সিংহ, শান্তা ছেত্রী, মলয় ঘটক, অখিল গিরি, শেখ সুফিয়ানের মতো শাসকদলের নেতারা। এরা সবাই শুধু নেতাই নন কেউ কেউ সাংসদ, বিধায়ক মায় মন্ত্রীও। এদের প্যানেলে রেখে কীভাবে স্বচ্ছ নিয়োগ সম্ভব? নাকি শুধুমাত্র শাসক দলের কর্মীদের এই পদে নিয়োগের জন্য এভাবে প্যানেল তৈরি করা হয়েছে?’ আদালত অবশ্য এদিন কোনও মন্তব্য করেনি। তবে আগামী দিনে রাজ্য সরকার কী রিপোর্ট জমা দেয় সেই দিকেই তাকিয়ে থাকবেন সকলে। যদিও মামলাকারীদের দাবি, সব অবৈধ নিয়োগই বাতিল হবে।
