নিজস্ব প্রতিনিধি: পণ কিংবা কন্যা সন্তানের জন্ম এমন নানান কারণে প্রায় নির্যাতনের শিকার হন গৃহবধূরা(Housewife)। ঠিক এরকমই এক অত্যাচারে প্রাণ গেল রিঙ্কি শীল মণ্ডলের। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা(Malda) জেলার ইংরেজবাজার(English Bazaar) থানার গাবগাছি যাদবপুর এলাকায়। অভিযুক্তের নাম ছোটন মণ্ডল। বিয়েতে পণ না মেলায় অশান্তির সূত্রপাত। তার জেরেই প্রাণ গেল বছর ছাব্বিশের রিঙ্কি শীল মণ্ডলের। ঘটনা জানাজানি হতেই ছোটন সহ পরিবারের লোকেরা ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। এরপর ওই গৃহবধূর দেহটি তাঁরা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান।
ঘটনার জেরে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, হাতুড়ির আঘাতে মাথা থেঁতলে খুন(Murder) করা হয়েছে রিঙ্কিকে। বাড়িতে গিয়ে রিঙ্কির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করেন তাঁরা। দেহটি পুলিশ ইতিমধ্যে মালদা মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দিয়েছে। মৃত গৃহবধূর বাবা বিপদ শীল জানিয়েছেন, বছর কয়েক আগে ভালোবাসা করে বিয়ে করেছিল ছোটন ও রিঙ্কি। তাঁদের একটি সন্তানও রয়েছে। সম্প্রতি তাঁর মেয়ের কাছে ছোটন টোটো কেনার জন্য ২ লক্ষ টাকা চেয়ে পাঠায়। অভাবের সংসার একসঙ্গে এতগুলো টাকা কোথা থেকে জোগাড় করবেন তিনি তা ঠিক করে উঠতে পারছিলেন না। মেয়ে টাকা না আনায় শুরু হয় অশান্তি। সেই অশান্তি কমাতে একদিকে যখন হন্যে হয়ে টাকা জোগাড় করতে শুরু করলেন, তাঁর কয়েকদিন বাদে আচমকা বাড়িতে খবর আসে তাঁদের মেয়ে আর বেঁচে নেই। তিনি দাবী করেছেন পণ না আনায় তাঁদের মেয়েকে খুন করেছে ছোটন। তাই ছোটনকে যেন কোনও ভাবে আইনের কাছে ছাড় না পায়। পরিবারে অন্য সদস্যরাও রিঙ্কির এই মৃত্যুর ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না। ইংরেজবাজার থানার পুলিশ জানিয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব তাঁরা ছোটন সহ পুরো পরিবারকে খুঁজে বের করবে। প্রকৃত দোষীরা কোন ভাবেই আইনের চোখে ছাড় পাবে না।