নিজস্ব প্রতিনিধি: মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেল ফালাকাটার বুকে। মায়ের হাতেই খুন হয়ে গেল মেয়ে। আর এই ঘটনা ঘিরে জোর শোরগোল পড়ে গেল উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা থানার জটেশ্বর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কুটিরপাড়া এলাকায়। ঘটনার পরেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ওই মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন। তার জেরেই এই ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছেন।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা নাগাদ কুটিরপাড়া এলাকায় শান্তনা বর্মণ(২৬) নামে ওই মহিলা আচমকাই ঘরের ভেতরে ঢুকে যান মেয়েকে নিয়ে। তারপর সেই ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে দিয়ে তিনি চড়াও হন তাঁর ৬ বছরের মেয়ের ওপর। একটি ধারালো চাকু নিয়ে তিনি ওই শিশুকন্যার ওপর চড়াও হন। এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করেন তাকে। এরপর নিজের পেটে চাকু ঢুকিয়ে দিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। শিশুকন্যাটির আর্তচিৎকার শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা এসে ঘরের দরজা ভেঙে রক্তাক্ত মা ও মেয়েকে উদ্ধার করেন। গুরুতর জখম অবস্থায় দু’জনকে বীরপাড়া রাজ্য সাধারণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা সেখানেই ওই শিশুকন্যাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হওয়ায় শান্তনা বর্মণকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিশ খুনে ব্যবহৃত ধারালো চাকুটিও উদ্ধার করেছে। কিন্তু ঠিক কোন কারণে এই ঘটনা ঘটেছে তা জানা যাচ্ছে না। যদিও শান্তনা বর্মণ বেশ কিছুদন ধরেই মানসিক ভাবে অসুস্থ ছিলেন বলেই গ্রামবাসীদের দাবি।