নিজস্ব প্রতিনিধি: এক যুবকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘিরে শোকের আবহ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ এলাকায়। আতঘাতী হওয়ার আগে রেখে গিয়েছিলেন মৃতদেহ সৎকারের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ। তুলসীগাছ, ধূপকাঠি, গীতা-সহ যা যা প্রয়োজন সব রেখে গিয়েছিলেন ওই যুবক৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত যুবকের নাম মনোজ ঘোষ। তিনি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের বটুন গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষ্ণগর এলাকার বাসিন্দা।
৩০ বছর বয়সী ওই যুবক বিশেষভাবে সক্ষম ছিল। স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে গত দুইবছর ধরে মনোজের বিয়ের জন্য মেয়ে দেখা চলছিল। কিন্তু ১৫টির মতো সম্বন্ধ দেখা হলেও বিয়ে হচ্ছিল না তাঁর। এর জেরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। এরপর অভিমানে এই চরম সিদ্ধান্তের পথ বেছে নেন তিনি। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় মনোজের দেহ৷ এরপর খবর দেওয়া হয় পতিরাম থানার পুলিশকে। পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পরিবার সূত্রে খবর, জন্ম থেকেই মনোজের ডান হাতে সমস্যা ছিল। কিন্তু তা নিয়েই জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি৷ মনোজের বাবা মণি ঘোষ বলেন, ‘ছেলে ছোট থেকেই বিশেষভাবে সক্ষম। আমরা না থাকলে তাকে কে দেখবে এই জন্য বিয়ে করতে চাইছিল।’ পড়াশোনার পাঠ শেষ করেই বাবার সঙ্গে কৃষিকাজে হাত লাগান মনোজ৷ তাঁর এক ভাইও ছিল। গত বছর হঠাৎই মনোজের ভাই আত্মহত্যা করে। বছর ঘুরতে না ঘুরতে এবার আত্মঘাতী হলেন মনোজ।