নিজস্ব প্রতিনিধি: আবাস যোজনায় (ABAS YOJANA) দুর্নীতি রুখতে আরও কড়া পদক্ষেপ নিল রাজ্য। পঞ্চায়েত দফতর থেকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হল রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসকদের। উল্লেখ্য, আবাস যোজনা নিয়ে পরপর বেশ কিছু কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য।
বৃহস্পতিবার রাজ্য পঞ্চায়েত দফতর সমস্ত জেলাশাসকদের সতর্ক করেছে ‘আবাস যোজনা’ নিয়ে। সাফ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, জেলাশাসকের দফতরে কন্ট্রোলরুম চালু করতে হবে। শুধু তাই নয়, নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, জেলাশাসক, মহকুমাশাসক এবং বিডিও অফিসে বাধ্যতামূলক ভাবে রাখতে হবে কমপ্লেন বক্স।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল, আবাস যোজনা নিয়ে কোনও দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নির্দেশ ছিল, দ্রুত কাজ করার। নবান্ন বিশেষ জোর দিয়েছে এই প্রকল্পে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি গ্রামীণ আবাস যোজনার জন্য কেন্দ্রের কাছ থেকে ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা পেয়েছে রাজ্য সরকার। ১১ লক্ষ ৩৭ হাজার বাড়ি তৈরির জন্য ওই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। কেন্দ্রের অর্থ পাওয়ার পরেই আবাস যোজনার কাজে যাতে অনিয়ম না হয় সে দিকে বিশেষ নজর দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। উপভোক্তাদের তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে যেমন তিন ধাপে যাচাই করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তেমনই বিশেষ পর্যবেক্ষক দলকেও নামানো হচ্ছে। ২১ জনের বিশেষ পর্যবেক্ষক দলে তিন জন আইএএস পদমর্যাদার আধিকারিক থাকছেন। পর্যবেক্ষক দল খতিয়ে দেখবে নবান্নের ঠিক করে দেওয়া ১৫ দফা গাইডলাইন আদৌ ঠিকঠাক ভাবে মানা হচ্ছে কি না।
উল্লেখ্য, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুরের কোটবাড় এলাকায় সমীক্ষা চালাতে গিয়ে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ ওঠে পশু চিকিৎসক সন্দীপ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে। তিনি সরকারি কর্মী। জানা গিয়েছে, পলাতক ছিলেন তিনি। তবে তাঁকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার কাঁথি আদালতে পেশ করেছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, এই অভিযোগের ভিত্তিতে জেলাশাসক, মহকুমাশাসক, বিডিও নিয়ে গঠিত হয়েছিল বিশেষ তদন্ত কমিটি।