নিজস্ব প্রতিনিধি: মঙ্গলবার ছিল জনসংযোগ যাত্রার প্রথমদিন। কোচবিহারের দিনহাটায় প্রথম সভা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (ABHISHEK BANERJEE)। আর প্রথমদিনের সভা থেকেই নিশানা করলেন বিজেপি ও কেন্দ্রকে। বললেন, ধর্মের নামে এবারের ভোট হতে দেবেন না। সরব হলেন, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে।
এদিন মাধাইকালী মন্দিরে পুজো দিয়ে জনসংযোগের পরে সভা থেকে তিনি বলেন, গত ২০১৯ সালে ভোট হয়েছিল ধর্মের নামে। তাঁর আবেদন, এবারে ধর্মীয় ভাবাবেগের সুড়সুড়িতে ভোট দেবেন না। নিজেদের অধিকারের দাবিতে ভোট দেবেন। বলেন, শিক্ষা-স্বাস্থ্য-জল-বাসস্থান ও সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য ভোট দিন। তাঁর বার্তা, এবারের ভোট হবে শান্তিপূর্ণ ও অগাধ।
বলেন, বামনহাট-সাহেবগঞ্জ সহ রাজ্যের প্রতিটি পঞ্চায়েতে গোপন ব্যালটে প্রার্থী ঠিক করবেন জনগণ। ভোট দেওয়া যাবে ৭৮৮৭৭৭৮৮৭৭ নম্বরেও। কোনও অসুবিধা হলে সরাসরি তাঁকে ফোনে অভিযোগ জানাতে বলেন তৃণমূল যুবরাজ। এদিন তিনি দাবি করেন, আগে উত্তরবঙ্গের মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ভোট নিয়েছে বিজেপি। বলেন, তিনি ২ মাস ধরে ঘর-বাড়ি-পরিবার ছেড়ে রাস্তায় নেমেছেন শুধু মানুষের জন্য। আরও বলেন, এবারের ভোট মোদির ৫৬ ইঞ্চি ছাতি বা বালাকোটের নামে নয়, ভোট হবে মানুষের প্রাপ্য অধিকার বুঝে নিতে।
মঙ্গলবার অভিষেকের দাবি, তৃণমূলে নবজোয়ার মানে উন্নয়নের জোয়ার। বলেন, তিনি যেভাবে মানুষের স্বার্থে মাটি কামড়ে পড়ে আছেন সেভাবে ভোটের আগে কোনও শাসক দল পথে নামে না, নামে বিরোধীরা। দৃঢ় ভঙ্গিতে বলেন, ‘মানুষের পঞ্চায়েত বানিয়ে ছাড়ব’। ধর্ম, পৃথক রাজ্যের নামে সুড়সুড়িতে ভোট না দেওয়ার আবেদন জানিয়ে বলেন, জল-কল-উন্নয়নের নামে ভোট দিন। তাঁর বার্তা, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার জবাব দিতে হবে। বুঝে নিতে হবে ১০০ দিনের টাকা-আবাসের টাকা। এরপরেই বলেন, আবাসের টাকা ৬০ শতাংশ দেয় কেন্দ্র। ৪০ শতাংশ দেয় রাজ্য। বাংলার প্রকল্প বাংলা নামকরণে হয়েছে, তাতেই আপত্তি কেন্দ্রের। অভিযোগ, ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার বাড়ির কাজ আটকে রয়েছে কেন্দ্রের জন্য। তাঁর আরও অভিযোগ, বাংলায় হেরে ‘জবরদস্তি’ প্রাপ্য টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। অভিযোগ, একমাত্র বঞ্চনার শিকার হয় বাংলা। বলেন, প্রাপ্য টাকা চাইতে গেলে দিল্লিতে থেকেও তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করেননি কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী।
জমায়েতের উদ্দেশ্যে অভিষেকের বার্তা, ১০০ দিনের প্রাপ্য টাকা ছিনিয়ে আনার জন্য পঞ্চায়েতে ভোট দিন। বলেন, পঞ্চায়েতে তৃণমূল জয়ী হলে দিল্লি থেকে প্রাপ্য টাকা ছিনিয়ে আনবে। তিনি জানিয়েছেন, কোচবিহার থেকে শুরু করে সাগর পর্যন্ত ৬০ দিন বা তারও বেশি সময় ধরে এই যাত্রায় তিনি ৩হাজার ৩৪৩টি পঞ্চায়েতে যাবেন। তাঁর দাবি, তৃণমূল গড়তে চায় ‘মানুষের পঞ্চায়েত’। বলেন, মানুষ যাকে মান্যতা দেবে, তাঁকেই প্রার্থী করবে তৃণমূল।