কৌশিক দে সরকার: ভোটের আগেই আরও এক মিনি ভোট। সেই ভোট আবার নিচ্ছে বাংলার শাসক দল। আমজনতা সেই ভোটে অংশ নিয়ে দলের প্রার্থী ঠিক করতেও পারবেন। মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের(North Bengal) কোচবিহার(Coachbehar) জেলার দিনহাটা(Dinhata) থেকে ‘জনসংযোগ যাত্রা’(Jansangjog Yatra) শুরু করেছেন তৃণমূলের(TMC) সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। সেই যাত্রায় তিনি এদিন তাঁর প্রথম জনসভা সম্পন্ন করেছেন দিনহাটারই সাহেবগঞ্জ(Sahebganj) থেকে। সেই সভা থেকেই তিনি আমজনতাকে জানালেন ৭৮৮৭৭৭৮৮৭৭ নম্বরে ফোন করে প্রার্থীর নাম জানাতে। নিজ নিজ এলাকায়, নিজ নিজ বুথে তাঁরা কাকে প্রার্থী হিসাবে চান সেটাই জানাতে বলেছেন অভিষেক।
আরও পড়ুন কালিয়াগঞ্জ মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ কলকাতা হাইকোর্টে
কেন এই মিনি ভোট? অভিষেক আগেই জানিয়েছেন, ‘এই কর্মসূচিতে আমরা মানুষের কাছে গিয়ে জানতে চাইছি, গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদে আপনারা কাদের প্রার্থী চাইছেন। দুর্নীতিমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত ও রক্তপাতহীন নির্বাচন অনেকেই চাইছেন। আমিও সেটাই চাই। কিন্তু এটা করার প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে, সঠিক প্রার্থী নির্বাচন করা। যদি সঠিক প্রার্থী নির্বাচন না হয়, এই কাজে আমরা কখনও সফল হব না। যদি মানুষ আশীর্বাদ না-করে, তাহলে ১০ হাজার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চেষ্টা করলেও সুষ্ঠু নির্বাচন ও দুর্নীতি মুক্ত পঞ্চায়েত হবে না। তাই মানুষের কথা শুনতে, মানুষের মতামত শুনতে যাচ্ছি। মানুষ কাদের পঞ্চায়েতে দেখতে চান, সেই নাম যাতে সঠিক ভাবে দলের কাছে পৌঁছতে পারে তার জন্যই এই কর্মসূচি।’
আরও পড়ুন অভিষেকের দুয়ারে BSF’র গুলিতে নিহত দুই যুবকের পরিবার
তৃণমূলের এই প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য গোপন ব্যালটে ভোট পরিচালনা করতে সুব্রত বক্সীকে চেয়ারম্যান করে ২২ জন নেতাকে নিয়ে ইলেকশন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া একাধিক সাংগঠনিক জেলাকে নিয়ে জ়োন তৈরি করা হয়েছে। প্রত্যেক জ়োনে গোপন ব্যালটে ভোট পরিচালনার দায়িত্ব অন্য নেতাদের দেওয়া হয়েছে। ইলেকশন কমিটির সদস্যরা গোপন ব্যালটে ভোট পরিচালনার কাজ করবেন। কিন্তু কাউকে টিকিট দেওয়ার দায়িত্ব কমিটির কোনও সদস্যকে দেওয়া হচ্ছে না। অর্থাৎ ইলেকশন কমিটির সদস্যরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও নেতা-কর্মীর নাম প্রার্থী হিসেবে সুপারিশ করতে পারবেন না।