নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রণাম করতে ঠাকুরবাড়ির মূল মন্দিরে ঢুকতে চেয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (ABHISHEK BANERJEE)। তবে বন্ধ করে দেওয়া হয় দরজা। তারপরে কথা না বাড়িয়ে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড প্রণাম করেন পার্শ্ববর্তী মন্দিরে। বিজেপি এবং তৃণমূলে বাধে ধ্বস্তাধস্তি। এরপরেই মতুয়াগড়ে দাঁড়িয়ে অভিষেক বলেন, ‘ঠাকুরবাড়ি গা জোয়ারির জায়গা নয়’।
রবিবার তিনি বলেন, ‘চাইলে ৫ মিনিটে ঢুকতে পারতাম’। আরও বলেন, ঠাকুরবাড়ি কারও গায়ের জোর দেখানোর জায়গা নয়। বলেন, ‘কালিমালিপ্ত করলেন শান্তনু ঠাকুর’। তাঁর বক্তব্য, ঠাকুরবাড়ি শ্রদ্ধার জায়গা। সেখানে রাজনীতি করে না তৃণমূল। জোর গলায় অভিষেকের দাবি, রাজনীতি করতে নয়, তিনি এসেছিলেন প্রণাম ও পুজো করতে। বক্তব্য, ভাঙার-বাধা দেওয়ার রাজনীতি করে না তৃণমূল।
এদিন অভিষেক বিজেপি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে নিশানা করে বলেন, যাদের তল্পিবহন করছেন তাঁরা বড়মা’র খোঁজ রাখেননি। খোঁজ রাখতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরও বলেন, ঠাকুরবাড়ির এলাকায় জল এবং রাস্তা করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই বলেন, ‘ঠাকুরবাড়ি কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়’।
উল্লেখ্য, ঠাকুরবাড়ির পরে এদিন উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতালেও। পরিস্থিতি এমন হয় যে সেখানেও বিজেপি এবং তৃণমূলের হাতাহাতি হয়। ধ্বস্তাধস্তি হয় কেন্দ্রীয়বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশের মধ্যে।