নিজস্ব প্রতিনিধি: আনিস খানের মৃত্যুর প্রতিবাদে ক্রমশই পারা চড়ছে আমতায়। একদিকে রাজনৈতিক দল থেকে সংগঠনগুলি এই ইস্যুতে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে, অন্যদিকে নেতৃত্বহীন বিক্ষুব্ধ আন্দোলন চালাচ্ছেন এলাকার সংখ্যালঘু মানুষ। বৃহস্পতিবার বেলাতেই আনিস খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা(Kashinath Bera) ও সিভিক ভলেন্টিয়ার প্রীতম ভট্টাচার্যকে(Pritam Bhattacharya) উলুবেড়িয়া মহকুমা(Uluberia Sub Division Court) আদালতে তোলা হয়। সেখানেই তাঁরা সাংবাদিকদের সামনে দাবি করেন, আনিসের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে তা তাঁরা জানেন না তবে, গত শুক্রবার রাতে আমতা থানার ওসি’র নির্দেশেই তাঁরা আনিসের বাড়িতে গিয়েছিলেন। এই দাবি সামনে আসার পরেই এদিন আনিসের পরিবার ও ঘটনায় ক্ষুব্ধ মানুষজন আমতা থানার সামনে প্রবল বিক্ষোভ দেখান। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে তাঁরা থানার ভেতরে ঢোকারও চেষ্টা করেন। সেখানেই আইএসএফ নেতৃত্বের তরফে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আমতা থানার ওসি, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান, স্থানীয় বিধায়ক ও হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের সুপারকে গ্রেফতারির দাবি তোলেন।
এদিকে এদিন সকালেই আনিস খান(Anis Khan) খুনের ঘটনায় গঠিত সিটের তরফে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভবানীভবনে ডেকে পাঠানো হয় আমতা(Amta) থানার ওসি দেবব্রত চক্রবর্তীকে। পাশাপাশি ওই থানার আরও ৪ আধিকারিককেও ডেকে পাঠিয়েছে। ঘটনাচক্রে গ্রেফতার হওয়া হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা ও সিভিক ভলেন্টিয়ার প্রীতম ভট্টাচার্য এদিন আরও জানিয়েছে যে, ওসির নির্দেশেই তাঁরা থানা থেকে আনিসের বাড়িতে গিয়েছিলেন। এখন তাঁদের বলির পাঁঠা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে এখন এটাও সামনে এসেছে যে আনিস না আত্মহত্যা করেছে, না কেউ তাঁকে ছুঁড়ে তিনতলা থেকে নীচে ফেলে দিয়েছে। সিটের অনুমান, পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি করতে গিয়েই সম্ভবত ওপর থেকে পড়ে যান আনিস। এদিন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সকালেই আমতা থানার সামনে এই ঘটনায় বিক্ষোভ দেখানোর কাজ শুরু হয়। সেখানে ছিলেন আমতার প্রাক্তন বিধায়ক অসিত মিত্রও(Asit Mitra)। আগুন জ্বালিয়েই সেই বিক্ষোভ দেখানো হয়। সেই বিক্ষোভ মিটতেই থানার সামনে হাজির হন আনিসের গ্রামের বাসিন্দারা। আর সেই সময়েই থানার সামনে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। যদিও ফুরফুরা শরিফের কাশেম সিদ্দিকি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তিনি আগামী রবিবার এই ইস্যুতে হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের সুপারের(Police Super) কার্যালয় ঘেরাও করার ডাকও দেন।