এই মুহূর্তে




পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গুরুত্ব বাড়ল অর্পিতা ঘোষের




নিজস্ব প্রতিনিধি: ছিলেন সাংসদ(MP)। একবার লোকসভার ও একবার রাজ্যসভার। কিন্তু রাজ্যসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই দল তাঁকে বলে দিয়েছিল ইস্তফা দিতে। দলের সেই নির্দেশ মেনেও নেন তিনি। তারপর প্রায় দেড় বছর রাজনীতির উঠোন ছেড়ে ফিরে গিয়েছিলেন তাঁর পছন্দের নাটকমঞ্চে। এবার দল তাঁকে আবারও নির্দেশ দিয়েছে মাঠে নামার। সেই নির্দেশ মেনে ফের রাজনীতির মাঠে নামার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন তিনি, অর্পিতা ঘোষ(Arpita Ghosh)। উত্তরবঙ্গের(North Bengal) দক্ষিণ দিনাজপুর(South Dinajpur) জেলার সদর শহর বালুরঘাট(Balurghat)। এই শহর বাংলার সংস্কৃতিতে বিশেষ ভাবে পরিচিত ‘নাটকের শহর’ হিসাবেই। সেই বালুরঘাটের প্রাক্তন সাংসদ অর্পিতা রাজ্যের অন্যতম নাট্য ব্যক্তিত্ব। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের(Panchayat Election) আগে রাজ্য মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) সহ সভাপতি অর্পিতাকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় সংগঠনের কাজ দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।  

আরও পড়ুন মমতার ১১ বছরের শাসনে ৪ লক্ষেরও বেশি পাট্টা বিলি বাংলায়

জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা বালুরঘাটের প্রাক্তন সাংসদ অর্পিতা ঘোষ জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে সংগঠনের কাজ দেখতে ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন। জেলায় দিদির দূত কর্মসূচিকে সামনে রেখে একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জনসংযোগ কর্মসূচি সেরেও ফেলেছেন। যদিও জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে, রাজ্য থেকে অফিসিয়ালি কোনও পদ দিয়ে অর্পিতা ঘোষকে না পাঠালেও রাজ্য নেতৃত্ব পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী জেলা তৃণমূলকে কাজ করার বার্তা দিয়ে দিয়েছে। যদিও জেলা জুড়ে তৃণমূল শিবিরে প্রচারিত হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি দলের পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে এসেছেন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় তিনি বালুরঘাটের সাংসদ ছিলেন। সেসময় তাঁর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ তৃণমূল দখল করেছিল। এবারেও অর্পিতা ঘোষের ওপর ভর করেই পঞ্চায়েতের বৈতরণী পার হতে চাইছে দলের জেলা ও রাজ্য নেতৃত্ব। সূত্রে জানা গিয়েছে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে আবারও বালুরঘাট থেকে অর্পিতাকে প্রার্থী করা হতে পারে তৃণমূলের তরফে।

আরও পড়ুন ‘রাস্তাশ্রী’র কাজ নিয়ে মেগা প্রচারে নামছে মমতার সরকার

এই বিষয়ে অর্পিতা নিজে জানিয়েছেন, ‘রাজ্য নেতৃত্ব আমাকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় গিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সংগঠনের কাজ দেখার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। আমি নির্দেশ পাওয়া মাত্র জেলায় চলে এসেছি। অফিসিয়ালি অবজার্ভার কিনা বলতে পারছি না। রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে নিজেকে দলের একজন কর্মী মনে করে এসেছি। আমার জেলা বলে মনে করি দক্ষিণ দিনাজপুরকে। কারণ দলের জেলা সভাপতি, সাংসদ ছিলাম। সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ রয়েছে। এই নয় যে রাজ্য নেতৃত্ব আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে বলে সবার ওপর ছড়ি ঘোরাব। সকলকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন লড়াই করব। আগের মতোই জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতিতে আমাদের ওপর ভরসা করবে জেলার সাধারণ মানুষ। দিদির দূত কর্মসূচি নিয়ে গ্রামে গিয়ে বুঝেছি জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিকল্প বলে কিছু নেই।’




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

গেদে সীমান্তবর্তী এলাকার কৃষকদের জমির ফসল লুট করছে বাংলাদেশী দুষ্কৃতীরা

ফারাক্কায় নাবালিকা ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে ৬০ দিনেই বিচার শেষ, শুক্রবার সাজা ঘোষণা

বাংলায় খুন করে গুজরাতে গা ঢাকা, পুলিশের জালে তবলাবাদকের ‘খুনি’

ফিরে দেখা: প্রথমবার মাদারিহাট বিধানসভার দখল নিল তৃণমূল

সীমান্তের ছাত্র-ছাত্রী ও যুব সমাজকে মাঠমুখী করতে বিশেষ উদ্যোগ

মালদায় আমের দেশে এবার ফলছে কমলালেবু

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর