নিজস্ব প্রতিনিধি: আদিবাসী সারনা ধর্মের স্বীকৃতি, কুড়মি সমাজকে তফশিলি উপজাতির তালিকাভুক্ত করা-সহ একাধিক দাবিতে ফের বনধে সামিল হল কুড়মি সমাজের মানুষজন। বুধবার জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে ১২ ঘন্টার জন্য বনধের ডাক দিয়েছেন তাঁরা।
বুধবার বনধের প্রভাব পড়েছে পুরুলিয়ার বেসরকারি বাস পরিবহন ব্যবস্থায়। এদিন সকাল থেকে পথে দেখা যায়নি কোনও বাস। তবে বাস চলাচল ঠিক মত না হলেও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। অন্যদিকে বনধ থেকে কোনওরকম অশান্তির ঘটনা যাতে না ঘটে সেই বিষয়ে সতর্ক প্রশাসন। মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বনধকারীরা কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করার দাবিও জানিয়েছেন। একইসঙ্গে রাজ্য সরকারের সিআরআই (কালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট) রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের বিক্রমপুর এলাকায় বুধবার সকালে দেখা গেল, কুড়মি সমাজের মানুষজন রাস্তায় নেমে ধামসা, মাদল, ঢোল নিয়ে অবরোধের পাশাপাশি নাচে গানে মেতে ওঠেন। অন্যদিকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশিয়াড়ি ব্লকের হাতিয়ার এলাকায় কেশিয়াড়ি রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন বনধ সমর্থনকারীরা। উল্লেখ্য ১ এপ্রিল থেকে জঙ্গলমহলে ‘ঘাঘর ঘেরা’ নামের অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন কুড়মি সমাজের মানুষজন। পরে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হলেও বুধবার ফের বনধের ডাক দেন তাঁরা।