নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ দিনাজপুর:আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মহিলাদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারি থানার পুলিশ। ধৃত যুবকের নাম শরিফুল ইসলাম(২৮), বাড়ি বুনিয়াদপুরের(Buniadpur) রশিদপুরে। এলাকার কুখ্যাত ড্রাগ মাফিয়া হিসাবেই পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরেই প্রশাসনের নাকের ডগায় অবৈধ কাজ চালানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এর আগেও শরিফুল আগ্নেয়াস্ত্র মামলায় জেল খেটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে বংশীহারি থানার মির্জাতপুর এলাকার একটি বাড়িতে শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠানে ওই যুবক এলাকার মহিলাদের বন্দুক দেখিয়ে ভয় দেখায়। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। অনুষ্ঠান বাড়িতে উপস্থিত স্থানীয়রা পাকড়াও করে গণধোলাই দেয়। সেই সঙ্গে শরিফুলের গাড়িও ভাঙচুর করে। পরবর্তীতে বংশীহারি থানার (Banshihari P.S.) পুলিশ শরিফুলকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার নির্দিষ্ট ধারায় মামলার রুজু করে ধৃতকে গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়।
অন্যদিকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বিষধর সাপের কামড়ে মৃত হয় এক মিশনে থাকা পড়ুয়ার।কুশমন্ডি ব্লকের উদয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিপালে এক বেসরকারি স্কুলে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টা নাগাদ এক বিষধর সাপের কামড়ে জীবন হারালো সত্যম শ্রেণীর এক ছাত্র।ছাত্রের নাম নবদ্বীপ রায়। বয়স ১৩ ।উল্লেখ্য, নবদ্বীপ রায়(Nabwadip Roy) মহীপাল মডেল স্কুলের সপ্তম শ্রেণীতে পড়ত সে।
স্কুলের শিক্ষক ওবায়দুর রহমান জানান, প্রতিদিনের মতো আজ ছয়টা নাগাদ ছাত্রদের খেলার পরে টিফিন দেওয়া হয়। এই টিফিন খেয়ে সবাই পড়তে বসে।ঠিক একই সময় খেয়ে পড়তে বসছিলেন নবদ্বীপ রায়। নবদ্বীপ পা ঝুলিয়ে পড়ছিল । ওই সময় ঘরের মধ্যে এক বিষধর সাপ প্রবেশ করে নবদ্বীপের ঝুলন্ত পায়ে কামড় দেয় ।সঙ্গে সঙ্গে নবদ্বীপকে কুশমন্ডি গ্রামীণ হাসপাতালে(Kushmundi Hospital) নিয়ে আসা হয়। কুশমন্ডি গ্রামীন হাসপাতাল প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রেখে দেন।
স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটলে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক নবদ্বীপকে গঙ্গারামপুর সুপারস্পেস্যালিটি হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।সঙ্গে সঙ্গে মিশন কর্তৃপক্ষ নবদ্বীপকে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল নিয়ে যাচ্ছিলেন।কিছুটা রাস্তা নিয়ে যাওয়ার পর নবদ্বীপ মারা যায়।পুনরায় কুশমন্ডি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় নবদ্বীপকে। দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নবদ্বীপের দেহটি রাখা হয়েছে কুশমন্ডি গ্রামীণ হাসপাতালে।পরিবার সূত্রে জানা যায়, নবদ্বীপের বাবা ও মা ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে কর্মরত।নবদ্বীপের বাড়ি, উদয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের , উদয়পুর গ্রামে ।ঠাকুমা বেলা রায়, এর কাছে থাকত সে।