নিজস্ব প্রতিনিধি: দুইজনই এখন ইডি(ED) বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের হেফাজতে। কিন্তু তাঁদের সম্পর্ক ঘিরে এখনও রহস্যের পর রহস্য। আর তাই দুইজনকে নিয়ে যেমন সোশ্যাল মিডিয়ায় মিমের ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে তেমনি একের পর এক সামনে আসছে তাঁদের নিরিবিলিতে নানা কীর্তিকলাপের কথাও। নজরে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়(Partha Chattopadhay) ও তাঁর বিশ্বস্ত ঘনিষ্ঠ সঙ্গী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়(Arpita Mukhopadhay)। এখন এদের দুইজনের সম্পর্ক নিয়েই রাজ্যের দুই এলাকার বাসিন্দারা মুখ খুলতে শুরু করেছেন প্রকাশ্যেই। আর যে সব তথ্য আর দাবি তাঁরা তুলে ধরছেন তা কার্যত চমকে দেওয়ার মতো।
প্রথমেই আসা যাক কলকাতা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরে থাকা বারুইপুর(Baruipur) শহরের কথায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার এই শহরেই জেলার সদর কার্যালয় হিসাবে গড়ে উঠছে ধীরে ধীরে। এই বারুইপুর থানা এলাকার বেগমপুর এলাকায় রয়েছে একটি বাগানবাড়ি। সেই বাড়ির মালিক কে তা স্পষ্ট নয়। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তাঁরা পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে প্রায়শই এই বাগানবাড়িতে এসে থাকতে দেখেছেন। বাগানবাড়ির কর্মীদের দাবি, তাঁরা নাকি বিশ্রাম নিতে আসতেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ‘বিশ্রাম নিতে না ছাই, শুতে আসত দুইজনে।’ এই দাবি সত্যমিথ্যা যাচাই করা এখন আর সম্ভব নয়। তবে এটাও ঠিক, যা রটে তার কিছু তো ঘটে। এই বাগানবাড়িতে বাড়ি ছাড়াও আছে বাগান আর পুকুর। শীতকালে অনেকেই এই বাড়িতে পিকনিক করার জন্য ভাড়া নেয়। তবে বছরের বেশিরভাগ সময়টাই এই বাগানবাড়ি থাকত মন্ত্রী ও মন্ত্রী ঘনিষ্ঠের দখলে। তাবে তাঁরা একা আসতেন না। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দলের আরও নেতাকর্মীরাও আসতেন তাঁদের সঙ্গে। তবে স্থানীয় কারোর সঙ্গে খুব একটা তাঁরা মিশতেন না।
এবার আসা যাক হুগলি জেলার শ্রীরামপুর মহকুমার জাঙ্গিপাড়া(Jangipara) থানা এলাকার দিলাকাশ পঞ্চায়েতের মথুরাবাটি গ্রামের কথায়। এখানেই অর্পিতার মামার বাড়ি। সেখানেও অর্পিতার মামার বাড়ির কাছেই রয়েছে এক বাগানবাড়ি। সেই বাড়ির মালিক কে তা কেউ জানে না। তবে বেশ ঝাঁ চক চকে বাড়ি যা হালে গড়ে উঠেছে। সেখানেই নাকি মন্ত্রী মহাশয় অর্পিতাকে নিয়ে মাঝেমধ্যেই আসতেন। গ্রামবাসীদের তেমনই দাবি। এমনকি সেই সময় অর্পিতার মামার বাড়ির পুকুরে মন্ত্রীকে মাছ ধরতেও দেখেছেন অনেকেই। গ্রামবাসীদের দাবি, আগে অর্পিতা মামার বাড়ি এলে সেখানেই থাকতেন। কিন্তু নতুন এই বাড়ি হওয়ার পর থেকে তিনি আর সেখানে উঠতেন না। বরঞ্চ থাকতেন এই নতুন বাড়িতে। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা অর্পিতা ওপর খুবই ক্ষুব্ধ। কেননা তাঁদের দাবি, অর্পিতা কারণে অকারণে যখন তখন স্থানীয়দের নানা ভাবে হুমকি ধমকি দিতেন। অর্পিতা গ্রামে এলে তাই গোটা গ্রাম ভয়ে তটস্থ হয়ে থাকত। এখন তাঁরা কিন্তু বেশ খুশি অর্পিতা গ্রেফতার হওয়ায়।