নিজস্ব প্রতিনিধি: উনিশের ছবি যে বাংলার বুকে আর ফিরবে না সেটা আঁচ আগেই পেয়ে গিয়েছে দিল্লিতে বসে থাকা পদ্মনেতারা। তাই ২৪’র ভোটে(General Election 2024) মন্দির রাজনীতিকেই আঁকড়ে ধরতে চাইছে গেরুয়া ব্রিগেড। সেই সূত্রেই বাংলার বুকে তাঁরা আমদানি করছেন এমন সব দলীয় কর্মসূচী যা ধর্মের মোড়কে বন্দী। সেই সূত্রেই বঙ্গ বিজেপির(Bengal BJP) কাছে নয়া নির্দেশনামা এসেছে দিল্লি থেকে। আর সেই নির্দেশনামায় বলা হয়েছে, উৎসব মরশুমে ফের শুরু করতে হবে ‘বুথ স্বশক্তিকরণ’ অভিযান(Booth Swashaktikaran Abhiyan)। আর সেই অভিযানে বাড়তি জনসংযোগ করতে হবে মন্দির ও আশ্রমের ব্রাহ্মণ ও পুরোহিতদের(Brahmin and Priests) সঙ্গে। তাঁদের সঙ্গে আলাপচারিতা সারতে হবে।
বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। এবারের লোকসভা ভোট মোদি তথা গোটা গেরুয়া শিবিরের কাছে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের। কারণ, খেটে খাওয়া মানুষের হাতে কাজ নেই। গ্রামের মানুষের ১০০ দিনের কাজ বন্ধ। যা নিয়ে অসন্তোষ দিন দিন বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস প্রকল্পে নাম থাকলেও মাথা গোঁজার ঠাঁই পাচ্ছেন না গরিব মানুষ। ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধি সহ একগুচ্ছ ‘কাঁটা’ সাজানো রয়েছে মোদির রেড কার্পেটে। আর তা গ্রামে বিঁধছে গেরুয়া শিবিরকে। ফলে শুধু প্রতিশ্রুতির ফানুস উড়িয়ে ভোটের বৈতরণী পার করা যাবে না বলে ওয়াকিবহালের একাংশ মনে করছে। এই পরিস্থিতিতে মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগকেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণের চাবিকাঠি হিসেবে ব্যবহারে করতে চাইছে পদ্ম শিবির। সংগঠন থাকুক না থাকুক, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করে কাজ হাসিল করতে চাইছে বিজেপি। এখন তাঁদের লক্ষ্য, গ্রামেগঞ্জের হিন্দু ভোট কব্জা করা।
বাংলার মাটিতে পঞ্চায়েত ভোটের আগেই বিজেপির বুথ স্বশক্তিকরণ অভিযান শুরু হয়েছিল। প্রথমদিকে এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য ছিল, গ্রামের সংগঠন মজবুত করতে বুথ কমিটি গঠন করা। কিন্তু, তাতে ডাহা ফেল করে বিজেপি। সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে প্রায় ৩০ হাজার বুথে কমিটি গঠন করতে পারেনি বিজেপি। যে সব বুথে কমিটি গঠন করা যায়নি এখন সেই সব বুথগুলিতে জোর দিচ্ছে পদ্মশিবির। সেই কারণেই আবারও ‘বুথ স্বশক্তিকরণ’ অভিযান চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই অভিযানে করণীয় কাজের তালিকাও বঙ্গ বিজেপির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে দলের জাতীয় নেতৃত্ব। তারই একটি জায়গায় বলা হয়েছে, বুথের এলাকায় কোনও মঠ, মন্দির, কিংবা আশ্রমে থাকলে সেখানকার পুরোহিত ও ব্রাহ্মণদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে।