এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

ভারতের মধ্যে বাংলার কৃষকদেরই সব থেকে বেশি আয়বৃদ্ধি

নিজস্ব প্রতিনিধি: আবারও বাংলা দেশের এক নম্বরে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) হাত ধরে বাংলার কৃষকেরাই(Bengal Farmers) দেশের মধ্যে এই কোভিডকালের মধ্যেও সব থেকে বেশি আয়বৃদ্ধির মুখ দেখেছেন। আর এই পরিসংখ্যান রাজ্য সরকারের নয়, এই তথ্য তুলে ধরেছে খোদ কেন্দ্রীয় সরকারই। আর এই ঘটনা যেমন আরও একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সফলতা তুলে ধরল তেমনি বঙ্গ বিজেপির নেতাদের মুখ আরও একদফা পুড়িয়ে ছাড়ল। কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন মোদি সরকারের(Modi Government) হিসেব বলছে, পশ্চিমবঙ্গে কৃষকদের আয় সবচেয়ে বেশি বেড়েছে দেশের অন্য সব রাজ্যের থেকে। আর সেই আয়বৃদ্ধির পিছনে কাজ করেছে ‘কৃষকবন্ধু’(Krishak Bandhu) প্রকল্প, শস্যবিমা প্রকল্প, কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার ব্যবস্থা এবং সবজি মাণ্ডির মাধ্যমে কৃষকদের সরাসরি তাঁদের উৎপাদিত ফসল বিক্রির ব্যবস্থা করে দেওয়ার মতো পদক্ষেপ।

২০১১ সালে বাংলার বুকে পরিবর্তন ঘটনার পরে পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার কৃষকদের আয় বৃদ্ধির ওপর সব থেকে বেশি জোর দিয়েছিলেন। সেই সূত্রেই প্রথমে শস্য বিমা প্রকল্পের সূচনা করা, তারপর কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার উদ্যোগ গ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই জোর দেন রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে অন্তত একটি করে কিষাণ মাণ্ডি গড়ে তোলার দিকে। সর্বশেষ পদক্ষেপ ছিল ২০১৯ সালে চালু করা কৃষবন্ধু প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলার কৃষকেরা বছরে দুইবার সর্বনিম্ন ৪ হাজার টাকা করে ও সর্বাধিক ১০ হাজার টাকা করে পান রাজ্য সরকারের তরফে। আর এর হাত ধরেই গ্রামীন এলাকায় কৃষকদের মধ্যে মহজনের কাছ থেকে চড়া হারে সুদ নেওয়ার ঘটনা কার্যত বন্ধ হয়েই গিয়েছে। সেই সঙ্গে জমির উৎপাদিত ফসল তাঁরা ভালো দামে বিক্রি করার সুযোগও পাচ্ছে। আর এটাই তাঁদের আয়ের মুখ দেখাচ্ছে। ফলে তাঁদের আয়বৃদ্ধিও ঘটছে। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জোর দিয়েছেন উৎপাদিত ফসল ভিন্ন রাজ্যে বা ভিন দেশে রফতানি করার দিকেও। সেই জন্য নানা জায়গায় রফতানি কেন্দ্রের নির্মাণেও জোর দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে বয়স্ক কৃষকদের জন্য তিনি চালু করেছেন পেনশনের ব্যবস্থাও।

এবার মোদি সরকারের মাধ্যমে যখন তথ্য উঠে এল সবার সামনে যে তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) হাত ধরে রাজ্যে সমৃদ্ধশালী হয়েছে কৃষক সমাজ, আয় বেড়েছে কৃষকের, তখন সেই সাফক্য টুইট করে তুলে ধরল জোড়াফুল শিবির। সেই টুইটে বলা হয়েছে, বাংলার ৭৭ লক্ষ কৃষক উপকৃত হয়েছেন কৃষকবন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে। ৮৬ হাজার কৃষক পাচ্ছেন পেনশন।’ আর সেই টুইটেই(Tweet) জুড়ে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র সরকারের কৃষি মন্ত্রকের করা টুইট যেখানে বলা হয়েছে বাংলা আর পুডুচেরির কৃষকেরা দেশের মধ্যে সব থেকে বেশি আয় বৃদ্ধির মুখ দেখেছে। এই ঘটনায় তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় জানিয়েছেন, ‘কৃষকদের আরও সাহায্য করার পরিকল্পনা রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিচ্ছে না। ১০০ দিনের কাজের টাকাও দেয়নি। চরম আর্থিক দুরবস্থার মধ্যে রয়েছে রাজ্য। তার পরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সদিচ্ছা এবং লড়াকু মানসিকতার জন্যই কৃষকদের আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে। আজ তার ফল মিলল। বাংলায় কৃষকরা যে স্বনির্ভর হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার তা স্বীকার করতে বাধ্য হল।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

নদিয়ায় জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনাই মৃত্যু হল এক যুবকের, শোকের ছায়া পরিবারে

অনলাইন প্রতারণা চক্রের ৬ ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করল শান্তিপুর থানা

কাঁচালঙ্কা চিবিয়ে খান, বেটে মুখে মাখেন, নদিয়ার শেখর সিকদারের কীর্তিতে হতবাক সকলে

এক ফোঁটা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়ার মধ্যে দিয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা

আন্তর্জাতিক অস্ত্র পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শাহজাহান?

সন্দেশখালিতে এনএসজিকে ডেকে রোবট এনে হাত বোমা উদ্ধার করল সিবিআই

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর