এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বিশ্বভারতীর অবনমনের জন্য দায়ী বিদ্যুৎ, সরব আশ্রমিক থেকে অধ্যাপকেরা

নিজস্ব প্রতিনিধি: কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান শুক্রবার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট র‍্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্কের তালিকা প্রকাশ করেছেন। সেই তালিকায় যাদবপুর ও কলকাতা বিধ্ববিদ্যালয় দেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দশের তালিকায় উঠে এলেও এ রাজ্যেই থাকা একমাত্র কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতীর(Viswabharati University) ঠাঁই হয়েছে একদমই নীচের দিকে। সেটাও ৯৮তম্ন স্থানে। মজার কথা, অর্থ বরাদ্দে কেন্দ্রীয় কার্পণ্য সয়ে, পরিকাঠামোয় পিছিয়ে থেকেও বাংলার রাজ্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ক্রমশ এগোচ্ছে জাতীয় র‍্যাঙ্কিংয়ে(National Ranking)। উলটো দিকে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক কেন্দ্রীয় সরকারি একাধিক প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের(Rabindranath Tagore) হাতে গড়া বিশ্বভারতী ক্রমশ নীচে নামছে কেন্দ্রেরই করা সমীক্ষায়। আর বিশ্বভারতীর এহেন দশার জন্য শান্তিনিকেতনের(Shantiniketan) আশ্রমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও অধ্যাপকেরা উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকেই(Bidyut Chakrabarty) দায়ী করেছেন। তাঁদের সবার এক সুর বিদ্যুৎ না সরলে বিশ্বভারতী শেষ হয়ে যাবে। অবিলম্বে তাঁর অপসারণ চাইছেন তাঁরা।

শান্তিনিকেতনের আশ্রমিকেরা এবং বিশ্বভারতীর পড়ুয়া ও অধ্যাপকেরা জানিয়েছেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবতীয় ঝামেলার সূত্রপাত বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ২০১৮ সালে এখানকার উপাচার্য হিসাবে আসার পর থেকেই। একই সঙ্গে তাঁর আমলেই একের পর এক বিতর্কিত ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন যেমন নিদারুন ভাবে ব্যাহত হয় তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মানের নিদারুণ অবনতি ঘটে। ২০১৮ সালে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে বিশ্বভারতীর র‍্যাঙ্ক ছিল ৩১। ২০২০ সালে তা এসে দাঁড়ায় ৫০-এ। ২০২১ সালে তা আরও নেমে হয় ৬৪। আর এবছর তো রেকর্ড পতন ঘটছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের। সোজা নেমে এসেছে ৯৮তম স্থানে। এভাবে চললে আগামী বছর রবীন্দ্রস্মৃতি ধন্য বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে আর খুঁজেও পাওয়া যাবে না দেশের প্রথম ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায়। আর এই অবনমনের জন্য আশ্রমিক থেকে অধ্যাপক, প্রাক্তনী থেকে পর্যটক সকলেই কাঠগড়ায় তুলছেন বিদ্যুৎকেই।

বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সংগঠনের সভাপতি সুদীপ্ত ভট্টাচার্যে বক্তব্য, ‘পড়াশোনা ও গবেষণার মানের ওপর প্রভাব ফেলছে তিনটি ফ্যাক্টর। ক্যাম্পাসে মুক্ত পরিবেশ না-থাকা, পরিকাঠামোর উন্নতি না-হওয়া এবং কর্তৃপক্ষের স্বেচ্ছাচারী মনোভাব। এই উপাচার্যের আমলে শয়ে শয়ে কর্মী-অধ্যাপক-ছাত্র-গবেষককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কথায় কথায় শোকজ় করা, চার্জশিট দেওয়া চলছে। এই আতঙ্কে পড়াশোনার পরিবেশ থাকে না। মুক্ত হাওয়া থাকাটা জরুরি। এর পাশাপাশি বিশ্বভারতীর যে ব্র্যান্ড ভ্যালু ছিল, তা হারিয়ে গিয়েছে। পড়ুয়াদের থাকা ও পড়ার ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা তৈরি হয়েছে। কিন্তু সেসবের কোনও সমাধানই করা হয়নি। উল্টে এই সব নিয়ে মুখ খুললেই নেমে আসছে শাস্তির খাঁড়া। এই মিলিটারি শাসন তো কবিগুরু চাননি। এর কী আদৌ কোনও প্রয়োজন আছে!’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

খাদ্যে বিষক্রিয়া, ডাইরিয়াতে আক্রান্ত মহিলা শিশু সহ ২০০ জন

শ্যামনগরের ওয়েভারলি জুট মিলে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড, ঘটনাস্থলে ৩ টি ইঞ্জিন

নির্বাচনী জনসভায় কর্মীদের উজ্জীবিত করতে বিস্ফোরক দেবাংশু ভট্টাচার্য

রবিবার পর্যন্ত কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা

রামনবমীতে অশান্তি, বেলডাঙ্গা ও শক্তিপুরের ওসিকে সাসপেন্ড করল কমিশন

তাপপ্রবাহে বিদ্যুৎ বিভ্রাট রুখতে জরুরি বৈঠকে বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর