নিজস্ব প্রতিনিধি: বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার প্রশাসনিক বৈঠকে গরহাজির ছিলেন একাধিক বিধায়ক। তখনই মেজাজ খারাপ হয়ে যা মুখ্যমন্ত্রীর। সকলেই প্রায় ভার্চুয়ালি থাকায় চটে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মধ্যে নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিকের অভিযোগ ছিল বীজপুর নিয়ে। তিনি জানান, মুকুল রায়ের এলাকায় দিনে দিনে বাড়ছে চুরি ও ডাকাতি। বাড়ছে সমাজবিরোধী মানুষদের কাজ। আতঙ্কে মানুষ। যা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন বীজপুর থানার আইসি। এবার তাঁকেই কাকদ্বীপের ট্রাফিক গার্ডে বদলি করল রাজ্য।
পর পর বেশ কয়েকটি চুরি ও ছিনতাইয়ে ঘটনা ঘটেছে বীজপুরে। এদিন মধ্যমগ্রামে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নালিশ জানান নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। ওসি সঞ্জয় বিশ্বাসকে মুখ্যমন্ত্রী জিজ্ঞাসা করেন, ‘কেন বীজপুরে চুরি-ডাকাতি বেড়েছে’? ওসি সঞ্জয় বিশ্বাস জবাব দেন, ‘আমরা এগুলি দেখছি। কয়েকজনকে ধরেছি। তাঁদের কোর্টে ফরওয়ার্ডও করেছি। যার পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী জবাব দেন, ‘কোর্টে শুধু ফরোয়ার্ড করলেই হবে না। কেস ঠিকমতো না করলে, ডায়েরি ঠিকমতো না রাখলে, পরের দিনই জামিন পেয়ে যাবে।’ এরপরেই বেশকিছু ওসি ও আইসিকে বদলিরও নির্দেশ দেন ব্যারাকপুরের পুলিস কমিশনার মনোজ ভার্মাকে। তারপরেই অপসারিত হলেন ওসি সঞ্জয় বিশ্বাস-সহ বীজপুর থানার কর্মরত তিন পুলিস আধিকারিক।
তাঁর জায়গায় বীজপুর থানার ওসি হচ্ছেন আলিপুরদুয়ারের কোর্ট ইনস্পেক্টর শ্রী জয়প্রকাশ পাণ্ডে।