এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

‘বিজেপি এখানে হুলিগানিজ়ম চালাচ্ছে, জনতাই ওদের উচিত শিক্ষা দেবে’, দাবি মমতার

Courtesy - Facebook and Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজনীতির মাঠে এক দল অপর দলকে আক্রমণ করবে সেটাই স্বাভাবিক। সেটাই হচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনের আবহে, প্রচারে নেমে বাংলার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি যেমন শাসক তৃণমূলকে আক্রমণ করছে, তেমনি তৃণমূলও বিরোধীদের আক্রমণ করছে। তবে অস্বীকার করার উপায় নেই যে, এবারের লোকসভা নির্বাচন(Loksabha Election 2024) বাংলার মাটিতে দুটি দলের মধ্যেই হচ্ছে। আর তা হল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি। দুই পরষ্পর বিরোধী রাজনৈতিক দল নিত্যদিন একে অপরকে নিশানা বানাচ্ছে। এদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের কোচবিহার(Coachbehar) জেলার মাথাভাঙা থেকে সেই বিজেপিএক নিশানা বানালেন তৃণমূল(TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। তিনি বললেন, ‘আমাদের এমন একটা সময় নির্বাচন হয়, যখন খুব গরম পড়ে। বিজেপি আদর্শ আচরণবিধি মানে না। কারণ ওটা ওদের ঘরবাড়ি। যার বিয়ে, সেই পুরোহিত। এজেন্সি দিয়ে নির্বাচন করাচ্ছে। বাড়ি-বাড়ি গিয়ে বলছে যে বিজেপিতে ভোট দাও। আর এজেন্সি থেকে মুক্তি পাও।’

মমতা বলেন, ‘একশ দিনের কাজের টাকা তিন বছর ধরে দিচ্ছে না। আমরা ৫৯ লক্ষ মানুষকে দিয়েছি। এমনি টাকা দাও না। তার আবার বাড়ানো। কেন্দ্র ৭ টাকা বাড়াবে বলেছে, তোমার কথায় তো কোড ভায়োলেন্স হচ্ছে না? আমিও দেব৷ এখানে বলছি না। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি রাজ্য তৈরি করে দিতে চায়। কমিশন যেন তাতে বাধা না দেয়। বিজেপি বললে কি ছাড়পত্র দেবেন? আমাদের এক লক্ষ আশি হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে। কেউটে সাপকেও বিশ্বাস করতে পারেন। তাকে পোষ মানাতে পারবেন। বিজেপিকে বিশ্বাস করবেন না। বিজেপির একটাই নীতি। ওয়ান নেশন, ওয়ান পলিটিক্যাল পার্টি। বিজেপির শাসন মানে আসলে এজেন্সিরাজ। সিআইএসএফ, আয়কর, এনআইএ কীভাবে বিজেপির ইশারায় মানুষের উপর অত্যাচার করছে। মানুষকে হেনস্তা করছে। সেটা কখনওই শাসক বিরোধীকে সম লড়াইয়ের সুযোগ দিতে পারে না। নির্বাচন কমিশনের কাছে আমার অনুরোধ, এই বিষয়টি দেখুন। শুধু মিথ্যা আর হিংসা দিয়ে এই কেন্দ্রে জিততে চাইছে বিজেপি(BJP)। নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর মুহূর্ত থেকেই অশান্ত করে দিয়েছে এলাকা বিজেপির গুন্ডাবাহিনীরা। সাধারণ মানুষের মনে এক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। আমি বলছি, এইসব দুষ্কৃতীদের ভয় পাবেন না। এদের উত্তর দিতে হবে ইভিএমে। কারণ এরা না মানে সংবিধান, না মানে গণতন্ত্র।’

এছাড়াও মমতা বলেন, ‘পরিযায়ী শ্রমিকদের বলছি যে ভোটটা দিয়ে যাবেন। নাহলে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দিয়ে দেবে। আমরা ২৮ লাখ পরিযায়ী শ্রমিকের তালিকা তৈরি করেছি। বিপদের সময় তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করি আমরা। চা বাগান বন্ধ করে দিয়েছে। চিন্তা করবেন না। আমরা মন-প্রাণ দিয়ে রক্ষা করব। মানুষের দাম দিই। মানুষের অধিকার কেড়ে নিই না। বিজেপির কল সেন্টার থেকে বলছে আবার আবাসের ফর্ম ফিল আপ করতে, আমরা তো বলেই দিয়েছি ওরা না দিলে আমরা করে দেব। বলছে এখানে নাকি উন্নয়ন হয়নি। পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় কে করেছে? আমাদের সরকার। মহারাজা জিতেন্দ্র নাথের নামে কলেজ আমরা করেছি। কোনটা হয়নি? মদন মোহন মন্দিরও প্রশাসন গেছে। আমি অনেকবার গিয়েছি। শিবযজ্ঞ মন্দিরেও গিয়েছি। রেলের প্রকল্প যেগুলি আজ উদ্বোধন করছে সেগুলি সব আমার করা। বের করুক পিন বুক, ভীষণ ২০২০, রেকর্ড বুক, বাজেটের কপি, দেখবেন সব আমার আমলে অনুমোদিত প্রকল্প। বিজেপি যবে থেকে ক্ষমতায় এসেছে, সেই ২০১৪ সাল থেকে আমাদের উপর অত্যাচার করছে। বাংলাকে ওরা মানে না। বিজেপি এখানে হুলিগানিজ়ম চালাচ্ছে। কিন্তু মনে রাখবেন বাংলার মানুষই এবার ওদের উচিত শিক্ষা দেবে।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শনিবার থেকে উত্তরবঙ্গে এবং রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে ঝড় – বৃষ্টি শুরু হবে

রাজ্য পুলিশদের জন্য পোস্টাল ব্যালট বন্ধ হওয়ায় সরব মমতা  

চাকরিহারা শিক্ষক- শিক্ষিকা ও শিক্ষা কর্মীদের এসএসসি ভবন অভিযান

মহিষের পিঠে চড়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলেন পুরুলিয়ার নির্দল প্রার্থী

‘লাল ঝাণ্ডা ফেলে গেরুয়া পতাকা নিয়েছে’, সিপিএম- বিজেপিকে আক্রমণ অভিষেকের

মহানন্দা নদীর রেল লাইন সেতুর নিচ থেকে দশম শ্রেণীর ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর