নিজস্ব প্রতিনিধি : হোটেলে নাবালিকাদের নিয়ে দেহ ব্যবসা চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক বিজেপি নেতাকে। ধৃত বিজেপি নেতা সব্যসাচী ঘোষের বিরুদ্ধে মানব পাচার ও পকসো আইনে একাধিক মামলা রুজু করা হয়েছে। বিজেপি নেতাকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
পুলিশ সূত্রে খবর, হাওড়ার আন্দুলের বাসিন্দা সব্যসাচী ঘোষ দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। ২০১৬ সাল থেকে বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের হাওড়া ইউনিটের সভাপতি ছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, সাঁকরাইলের ধূলাগড়ে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে সব্যসাচী ঘোষের একটি হোটেল রয়েছে। সেই হোটেলেই সব্যসাচীবাবু ও তার দলবল দেহ ব্যবসা চালাত বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সাঁকরাইল থানার পুলিশ ওই হোটেলে অভিযান চালিয়ে দুই মহিলা সহ চার জনকে উদ্ধার করে। এরপরই বিজেপি নেতা সব্যসাচী ঘোষ সহ ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে মানব পাচার ও পকসো আইনে একাধিক মামলা রুজু করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ধৃত বিজেপি নেতা সব্যসাচী ঘোষ শ্রমিক সংগঠনের পাশাপাশি কিষাণ মোর্চার সঙ্গেও যুক্ত। শেখ শাহজাহানের বাহিনীর বিরুদ্ধে সন্দেশখালিতে যখন নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তখন রাজ্যে অন্য প্রান্তেও মহিলাদের নিয়ে দেহ ব্যবসা চালানোর অভিযোগে নাম জড়াল বিজেপি নেতার। স্বভাবতই লোকসভা ভোটের আগে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাওড়া জেলায় রাজনৈতিক চাপানউতোর সৃষ্টি হয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে গোটা ঘটনার নিন্দা করেছে তৃণমূল। রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণমন্ত্রী অরূপ রায় জানান, নাবালিকাদের দিয়ে দেহ ব্যবসা চালানো সমাজের চোখে ভয়ঙ্কর অপরাধ। তবে এই ঘটনার দায় তৃণমূল ঝেড়ে ফেলতে পারে না বলে বিজেপি নেতা ওমপ্রকাশ সিংয়ের যুক্তি, এতবড় ঘটনা যখন ঘটেছে, তখন নিশ্চিতভাবে সেখানকার ওসি, স্থানীয় সাংসদ ও বিধায়করাও এর জন্য দায়ী। পরে বিজেপির তরফে প্রেস বিবৃতিতে জানানো হযেছে, সব্য়সাচীবাবুর সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই।