এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

পুলিশি ঘেরাটোপে শান্তিকুঞ্জ, উঠল আদালত অবমাননার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর(Suvendu Adhikari) হাওড়া আসা ঠেকাতে গিয়ে কী রাজ্য পুলিশ(Police) প্রশাসন আদালত অবমাননা করে বসল! এই প্রশ্নটাই তুলে দিল বিজেপি(BJP)। রবিবার সকালেই পূর্ব মেদিনীপুর(Purba Midnapur) জেলার কাঁথি(Contai) থানার পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয় শুভেন্দুকে। সেই চিঠিতে জানানো হয়েছে, আদালতের নির্দেশ রয়েছে তাঁকে যথাযথ পুলিশি নিরাপত্তা দিতে হবে। শুভেন্দুর হাওড়া যাওয়ার ক্ষেত্রে যে কর্মসূচি রয়েছে সেই কর্মসূচি পালন করতে গেলে ভাঙবে ১৪৪ ধারা। অশান্তি ঠেকাতে হাওড়া জেলার পাঁচলা ও জগৎবল্লভপুর এলাকায় ১৪৪ ধারা বজায় রেখেছে জেলা প্রশাসন। তাই শুভেন্দু যেন হাওড়ায় না যান। সেই চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি এদিন বিশাল পুলিশবাহিনী দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে কাঁথিতে অধিকারী পরিবারের বাসগৃহ ‘শান্তিকুঞ্জ’(Shantikunja)। আর এখানেই প্রশ্ন তুলছেন বিজেপির নেতারা। তাঁদের দাবি, আদালত শুভেন্দুকে নিরাপত্তা দিতে বলেছে, তাঁকে গৃহবন্দি করার নির্দেশ দেয়নি। কিন্তু পুলিশ এখন তাঁর বাড়ি থেকে বার হওয়া ঠেকাতে গিয়ে কার্যত আদালত অবমাননা করে বসেছে।

কার্যত এদিন সকাল ৯টার থেকেই শান্তিকুঞ্জের আশেপাশে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা শুরু করে দেয় জেলা পুলিশ প্রশাসন। যদিও শনিবার রাত থেকেই শান্তিকুঞ্জ ঘিরে পুলিশি নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছিল। কিন্তু এদিন সকালে তা আরও বাড়ানো হয়। এমনকি কী ঠিক কোন কারণের জন্য সেখানে বিপুল পরিমাণ পুলিশ রয়েছে তা এখনও স্পষ্টভাবে জানাতে পারেনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ প্রশাসন। বিজেপি নেতাদের দাবি, শুভেন্দু যাতে বাড়ি থেকেই বার হতে না পারেন তার জন্যই এই পুলিশি ঘেরাটোপ দেওয়া হয়েছে। যদিও পুলিশের তরফে শুভেন্দুকে বাড়ি থেকে বার হওয়ার ক্ষেত্রে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। আর এখানেও প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির নেতারা। তাঁদের দাবি পুলিশ থেকে যে চিঠি শুভেন্দুকে পাঠানো হয়েছে সেখানে তাঁকে হাওড়া যেতে নিষেধ করা হলেও বাড়ি থেকে বার হওয়ার ক্ষেত্রে কোনও নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়নি। তাহলে শান্তিকুঞ্জ ঘিরে এহেন পুলিশি ঘেরাটোপ কেন? সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা বিষয়টি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে জানিয়েছেন শুভেন্দু। সেই সসঙ্গে বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্টের নজরেও আনা হচ্ছে। 

এই অবস্থায় এদিন শুভেন্দু জানিয়েছেন, ‘আমাকে হাওড়া যাওয়ার ক্ষেত্রে আটকানো হলে আমি কালই আদালতে যাব। সেনা ডাকার মতো পরিস্থিতি হয়েছে। তারপরেও তা নামানো হয়নি। সেনা ডাকতে এতো ইগো কেন? আমি কাল কলকাতা হাইকোর্টে গিয়ে মহামান্য আদালতের অনুমতি চাইব যাতে হাওড়ার ওই সব এলাকা পরিদর্শন করার অনুমতির জন্য। আমি কেন পার্টি অফিসে যেতে পারব না? কেন আমি দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে পারব না? কেন আমি ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের কাছে যেতে পারব না। ১৪৪ ধারা ভাঙলে নিশ্চয়ই গ্রেফতার করুক। কিন্তু আমি যদি চারজন লোককে নিয়ে যাই তাহলেও কী আইন ভাঙা হবে?’ যদিও এই বিষয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘শুভেন্দুর জানা নেই যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে দেশের সবকটি রাজ্যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এটা শুধু পশ্চিমবঙ্গের ঘটনা নয়। উনি নিজে এখন খবরে আসার জন্য বলছেন আমাকে গ্রেফতার করো গো আমাকে গ্রেফতার করো। সবটাই পাবলিসিটির কৌশল। শুভেন্দু অধিকারীর লজ্জা থাকলে আগে দেখুন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক কোন নির্দেশিকা জারি করেছে। কোর্টে যাবে বলছে, যাক না। কে বারণ করেছে।’ 

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মদ থেকে অস্ত্র, সন্দেশখালিতে ভোটের বরাত কত, ফাঁস গঙ্গাধরের মুখে

বিজেপি নেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার তাজা বোমা, রানাঘাটে ছড়িয়েছে উত্তেজনা

বামভূমে রামের উত্থান ঠেকিয়ে এসেছিল জয়, বোলপুরে সক্রিয় কেষ্ট ক্যারিশ্মা

স্ত্রী বিজেপিতে যোগদানের পরেই জগন্নাথ সরকারকে বেনজির আক্রমণ মুকুটমণির

বহরমপুরে রোড শো’ তে বেরিয়ে লস্যিতে চুমুক ইউসুফ পাঠানের

দেবাংশুর প্রচারে গিয়ে আক্রান্ত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা ,প্রতিবাদে নন্দীগ্রামে পথ অবরোধ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর